ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

মাটি বলেছে  || শীতল চট্টোপাধ্যায়

মাটি বলেছে  || শীতল চট্টোপাধ্যায়

ওরা হাঁটছে ৷ ওদের নাম প্রেম ৷ দু’জনের জীবনপথ জুড়ে যায় দু’জনের জীবন পথে, নাম হয় প্রেমপথ ৷ প্রেমের অনুভূতিতে -কানে আসা যুদ্ধ সাইরেনকে – যুদ্ধ সাইরেন ভাবতে ভুলে যায়, যুদ্ধ গোলাকে চাক্ষুস করেও – যুদ্ধ গোলা বলে চিনতে ভুলে যায় কিংবা ভাবে আমাদের কাছে না এসে দূরেই থমকে যাবে যুদ্ধগোলা ৷ ভাবে, আমরা প্রেমের পবিত্র আগুনে জ্বলে নিস্তেজ করে দেব যুদ্ধ গোলাকে, প্রেমের মিশাইল হয়ে অনায়াসে পেরিয়ে যাব যুদ্ধ বিছানো পথকে, আমাদের যুদ্ধ আক্রান্ত দেশে আমরা হব মৃত্যুঞ্জয়ী প্রেম ৷
অবিচ্ছেদ্য প্রেম বন্ধনের প্রাণে আমরা থাকব একে -অন্যের জীবনে লুকিয়ে, যোদ্ধার – যুদ্ধ চোখকে এড়িয়ে ৷ কষ্টের কান্নায় কাঁদতে দেবনা আমরা – আমাদের প্রেমকে ৷
ওরা ভাবছে, প্রেম জীবনে উত্তরণ যখন জীবন ওদের ৷
হৃদয়ের সাথে হৃদয় মেশার এক স্বর্গীয় অনুভূতিতে পৌঁছে – চিনতে বা দেখতে ভুলে যায় ভয় – আতঙ্কের ছায়াকে, প্রেমের ঈশ্বরীয় উপলব্ধিতে তখন  দু’জন – দু’জনের মধ্যে অসীম ওরা ৷ ওদিকে যুদ্ধ তার যুদ্ধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে চলেছে প্রেমিক – প্রেমিকার দেশটায় , ওদের জন্মলাভ করা ভূমিটায় ৷ যেখানটা ওদের জীবনকে দিয়েছে প্রেমে পৌঁছানোর পথ , কৃষ্ণ – রাধার এক প্রতীকী জীবন উপলব্ধি ৷ ওরা হাঁটছে প্রতীকী কৃষ্ণ -রাধাতেই ৷ যুদ্ধেও না মরা মাটি পাতা হয়ে আছে ওদের জন্যই ৷ ওদের জন্যই প্রেমিকা মেয়েকে রাধা ডেকে মাটি বলেছে – তোর জন্যই এ মাটিতে আবার একটা যমুনা আনব নতুন করে, সে জলে কলসি ভরিয়ে নিস তোর, জল ঢেলে নিভিয়ে দিস যুদ্ধ আগুন ৷ প্রতীকী প্রেমিক কৃষ্ণর জন্য আমার এই মাটি গর্ভ থেকেই জন্ম দেব নতুন এক কদম গাছ, যোদ্ধার যুদ্ধ মনকে ঢেকে দেবে সে কদমফুলে, নতুন যমুনার বওয়া জলে- বওয়া ভুলবে যুদ্ধস্রোত, নতুন কদম ফুলের গন্ধে মুছে যাবে
যুদ্ধ বারুদের বিষাক্ত গন্ধ, যুদ্ধকে হারানোর
ইতিহাস লিখবে-  তোদের নতুন প্রেম ইতিহাস ৷


ঠিকানা – জগদ্দল , পশ্চিমবঙ্গ

 



সংবাদটি শেয়ার করুন