দেশের সংবাদ

মাদ্রাসা ছাত্রকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার করতেন শিক্ষক

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম শহিদুল্লাহ (৪৫)

মাদ্রাসা ছাত্রকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার করতেন শিক্ষক

‘শিক্ষক আমাকে ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার (ধর্ষণ) করতো। অনেক সময় বাসায় চলে যেতে চাইলে ভয়ভীতি দেখাতো। এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে মানাও করতো।’ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ১১ বছর বয়সের এক ছাত্র আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজমল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জবানবন্দি গ্রহণের পাশাপাশি একই দিন অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হয়।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম শহিদুল্লাহ (৪৫)। তিনি চাঁদপুর জেলার উত্তর ইচলী এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বব্দুশীর ছেলে এবং সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত মারকাযুল কোরআন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক।

এর আগে বলাৎকারের শিকার শিশু ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ অক্টোবর রাতে মারকাযুল কোরআন কওমি মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং থেকে শিক্ষক শহিদুল্লাহকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির ফুফু।

বলাৎকারের শিকার ১১ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার জানায়, গত ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই শিক্ষক শহিদুল্লাহ ছাত্রটিকে বলাৎকার করে আসছে। ব্যথা কমাতে ছাত্রটিকে ব্যথানাশক ওষুধও সেবন করাতেন ওই শিক্ষক। ছাত্রটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতো। শেষবার শিশুটি বলাৎকারের শিকার হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার সময়। পরে সুযোগ পেয়ে ওই শিশু ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক সময় নিউজকে বলেন, ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলাৎকারের অভিযোগ স্বীকারও করেছেন।

ওসি আরও জানান, আমরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে সোমবার আদালতে পাঠিয়েছিলাম। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আদালতে ওই ছাত্রের জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর পূর্বে এরকমের অজস্র ঘটনা ঘটিয়েছেন কিন্তু ছাত্রদের অভিভাবকরা চোখ লজ্জা আর ধর্মের কারনে তা প্রকাশ করেননি।

_সূত্রঃ কালের কন্ঠ, বাংলা ট্রিবিউন ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম

 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন