মালিতে সেনা বিদ্রোহ, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিমের পদত্যাগ
বিদ্রোহী সেনাদের হাতে আটক হওয়ার পর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেতা পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় এক টেলিভিশন রিপোর্টের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট কেতা তাঁর গঠিত সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কোনো রক্তপাত হোক, তা আমি চাই না।’
এর আগে বিদ্রোহী সেনারা অস্ত্রের মুখে প্রেসিডেন্ট কেতা ও প্রধানমন্ত্রী বুবু সিসাকে রাজধানী বামাকোর কাছের একটি সামরিক শিবিরে ধরে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট কেতা বলেন
আজ যদি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু মানুষ তাদের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি চায়, তাহলে আদৌ কি আমার কিছু করার আছে? কারও প্রতি আমার কোনো ঘৃণা নেই। দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা আমাকে তা করতে শেখায় না। সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করুন।’
বেতন-ভাতা ও জঙ্গিদের সঙ্গে অব্যাহত লড়াই নিয়ে সেনাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। একই সঙ্গে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রতিও যথেষ্ট অসন্তোষ ছিল।
ইব্রাহিম বৌবাকার কেতা ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। তবে দুর্নীতি, আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও দেশের বেশ কয়েকটি অংশে গোষ্ঠীগত সহিংসতা সৃষ্টি হওয়ায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছিল ব্যাপক।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন কাতি ক্যাম্পের উপপ্রধান কর্নেল মালিক দিয়াও এবং জেনারেল সারিদও কামারা।
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন