কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আরও পাঁচ ট্রলারসহ অর্ধশতাধিক মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।
নিহত জেলের নাম ওসমান (৫০)। তিনি টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের কোনা পাড়ার বাছা মিয়ার ছেলে। তিনি পুরোনো রোহিঙ্গা (বেশ আগে বাংলাদেশে আসা) বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, তার এলাকার ছয়টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়, এ সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলি করে। এতে একজন মারা যায়। এ ছাড়া আরও দুই জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পেয়েছেন বলে জানান।
শাহপরী রদ্বীপের বাসিন্দা ও ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। যেখানে তার মালিকানাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ চার জনের মধ্যে একজন মারা যায়। আজ বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে দুপুরে এসে পৌঁছেছে।
এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের সীমান্তে দেশটির নৌবাহিনীর গুলিতে একজন নিহত এবং আরও দুই জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন এর কাছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত হয়েছেন এবং দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জনকে নিয়ে একটি ট্রলার ছেড়ে দিয়েছে । আরও পাঁচ ট্রলারসহ অর্ধশতাধিক মাঝি-মাল্লাকে এখনো ছেড়ে দেয়নি। এ বিষয়ে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : দৈনিক আমাদের সময়