প্রবাসের সংবাদ

মেক্সিকোয় যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী পালন

মেক্সিকোয় যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী পালন

মেস্কিকো শহরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ’আজ ১৮ই অক্টোবর ২০২২ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী ‘শেখ রাসেল দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালন করে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল’ শেখ রাসেল: নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস মেক্সিকো শহরস্থ ফ্রান্সিসকো গোইটিয়া পাবলিক এলিমেন্টারি স্কুলের প্রায়  ৩৫০ জন শিশুদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

০২।      অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে, দূতাবাসে সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তীতে, ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ও ২২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ প্রায় ৪০০ জন স্কুলের হলরুম প্রাঙ্গণে সকাল ৯.০০ টায় সমবেত হলে, তাদের সকলের উপস্থিতিতে, ফ্রান্সিসকো গোইটিয়া পাবলিক এলমেন্টারি স্কুলের অধ্যক্ষ জনাব হেক্টর গার্সিয়া  ক্যারেরা তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ দূতাবাসকে স্বাগত জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীতের সাথে তাদের জাতীয় পাতাকাকে সম্মান জানায়। দিবসটি উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা চিয়াপাস, ওহাকা এবং গেররেরো রাজ্যের তিনটি ঐতিহ্যবাহী মেক্সিকান নৃত্য পরিবেশন করে। এরপরে, তৃতীয়  শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীর বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণীর পাঁচজন শিক্ষার্থী শেখ রাসেলের জীবন এবং কর্মকান্ড সম্পর্কে তাদের বক্তব্য প্রদান করে। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম স্প্যানিশ ভাষায় প্রদানকৃত তার বক্তব্যে শেখ রাসেল এবং দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। অংশগ্রহণকারী সকল শিশুদের মাঝে বাংলাদেশের ছোট পতাকা বিতরণ করার পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

০৩।     অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে, সকাল এগারোটায় সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়। অতঃপর শেখ রাসেল-এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা পর্বে উপস্থিত সকলে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত মহোদয় তার বক্তব্যে শিশু রাসেল-এর হত্যাকান্ডকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম একটি শিশু হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে আজ শেখ রাসেল জীবিত থাকলে তিনি বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে হয়ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে পারতেন। তিনি শেখ রাসেলের  জন্মদিনে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্ব শিশুদের জন্য নিরাপদ হোক এই কামনা করেন।

০৪।      পরিশেষে, শেখ রাসেল ও জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

 



সংবাদটি শেয়ার করুন