যথাযথ মর্যাদায় গ্রিসে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত
বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্সে ‘শেখ রাসেল: নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল এঁর 59তম জন্মদিবস: শেখ রাসেল দিবস-২০২২। এই উপলক্ষ্যে দূতাবাসে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব -এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল এঁর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ দূতাবাস পরিবারসহ প্রবাসী শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন। এসময় গ্রিসে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন। শহিদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচির সাংস্কৃতিক পর্বে এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দোয়েল একাডেমি ও বাংলা-গ্রিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন। বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর, শহিদ শেখ রাসেলের উপর নির্মিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা পর্বে বক্তারা শহিদ শেখ রাসেলের জীবনের নানান দিকের উপর আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত শহিদ শেখ রাসেলের কথা স্মরণ করে বলেন, প্রাণবন্ত শেখ রাসেল ছিলেন সম্ভাবনাপূর্ণ দুরন্ত এক শিশু। ৭৫-এর ঘাতকরা তাকেও রেহাই দেয়নি। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট মানব জাতির ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তিনি। আজ তিনি বেঁচে থাকলে, আমরা হয়তো একজন দেশপ্রেমিক, আদর্শ ও দূরদর্শী নেতা পেতাম। আলোচনায় অন্যান্য বক্তারাও শেখ রাসেলের শৈশব স্মৃতির কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাঁর মধ্যে যে অসীম সম্ভাবনা লুকায়িত ছিলো, তা আগামীর শিশুদের মধ্যে প্রতিফলিত হবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা লিখন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।