বিশ্ব

যুদ্ধের সব প্রস্তুতি ইরানের

মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণ সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধের প্রস্তুতি ইরানের, আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান মোতায়েন

ইরানের জেনারেল সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধের সব প্রস্তুতি ইরানের সম্পন্ন। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণ সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর অন্যদিকে আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে ইরান।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুর জবাব নিতে কঠোর অবস্থান নেবে ইরান। ফলে ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরানের আকাশসীমায় মহড়া শুরু করে দিয়েছে যুদ্ধবিমান। মোতায়েন করা হয়েছে এফ-১৪ যুদ্ধবিমানও। দেশটির পশ্চিম আকাশে যুদ্ধবিমানের মহড়া চলছে। যুদ্ধবিমান সতর্ক অবস্থানে থেকে পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া ইরানের সমস্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলোকেও রাখা হয়েছে উচ্চ-সতর্কতায়।

এদিকে, ইরানের সঙ্গে চলা উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরো তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব সৈন্য কুয়েতে মোতায়েন করা হতে পারে। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার এক দিন পর এই সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

এ ছাড়াও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে আরো একটি যুদ্ধজাহাজ এবং পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করছে। এই জাহাজে উভচর সামরিক যান এবং যুদ্ধবিমান পরিবহন করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে, তারা ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায়না, কিন্তু মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঠিক কী ধরনের হুমকির মুখোমুখি মার্কিন সৈন্যরা হয়েছে- তা খোলাসা করে বলা হচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর প্রস্তুতিকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না ইরান। তারা বলছে আমেরিকা ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের পাল্টা হিসাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।

বিশ্বে প্রতি বছর যত জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়, তার এক পঞ্চমাংশ সরবরাহ যায় এই হরমুজ প্রণালী দিয়ে। ইরানের ক্ষমতাধর একজন ধর্মীয় নেতা ইউসেফ তাবাতাবাই-নেজাদকে উদ্ধৃত করে আধা-সরকারি ইরানি সংবাদ সংস্থা ইসনা বলছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজের বহর ধ্বংস হয়ে যাবে।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামিনি বলেছেন, ‘অপরাধীদের জন্য ভয়াবহ প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’ ইরানের সেনাবাহিনীর (ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডস বা আইআরজিসি) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রমজান শরিফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যক্তরাষ্ট্র তোমরা কড়া জবাবের জন্য অপেক্ষা করো।

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে 

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − ten =