শরৎ কালে ঢল |||| বিশ্বজিৎ মানিক
ভাদ্রের মাঝামাঝি – মুষলধারে বৃষ্টি
জীবন যাত্রায় করে দিলো – ব্যাঘাত সৃষ্টি।
বৃষ্টিতে বেড়ে গেলো – পুকুরের জল
চলে গেলো ছোট মাছ – বেঁধে তারা দল।
ভাদ্র আশ্বিন মাসে – ঢল হলে পরে
জানা ছিলো মাছগুলো – পুকুরেতে ফিরে।
তাইতো রাখা হয় – নালাটিকে খোলা
নালা দিয়ে ঢল হলে – মাছ হয় তোলা।
মাছ দেখে হয়ে যায় – চোখ ছানাবড়া
জানা যদি হতো আগে – যেতো মাছ ধরা।
পুকুরের মাছগুলো – হয়ে গেলো বের
গাঁয়ের ভাতিজা এসে – পেতে দিলো ঘের।
ছোট মাছ খেলা করে – ঢুকে গেলো ঘেরে
ভাতিজাটি ধরে মাছ – নিয়ে নিলো ঘরে।
ঘরে গিয়ে ফেসবুকে – করে আপলোড
কাঁচা লংকা দিয়ে রাঁধে – খেতে ভেরি গুড।
ফেসবুকে মাছ দেখে – লেগে যায় লোভ
দিতো যদি কিছু মাছ – খাওয়া যেতো খুব।
টক দিয়ে ছোট মাছ – খাওয়া হতো আগে
ঝাল টকে রাঁধা হলে – খেতে ভালো লাগে।
নালাটির কাছে গিয়ে – খোকাবাবু ভাবে
কেমন করে মাছগুলো – আটকানো যাবে?
বুদ্ধিটা এসে গেলো – অবশেষে মাথায়
নালা মুখে খাটি দিয়ে – আটকানো যায়।
সমাধান খোঁজে পেয়ে – খোকা মনে হাসে
খাটি দেবো নালা মুখে – বৈশাখ মাসে।
মাছগুলো থাকে যদি – পুকুরের জলে
ধরে খাবো ছোট মাছ – জেলে ভাই এলে।
নালা মুখ আগে থেকে – দিলে বন্ধ করে
পুকুরের মাছগুলো – রবেই পুকুরে।
পাবেনা তো আর কেউ – মাছ ধরা কল
হউক না শরৎ কালে – যতো খুশী ঢল।
০৩/০৯/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।