দেশের সংবাদ

শিক্ষকতার আড়ালে ওরা জঙ্গি

জঙ্গি
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বন্দরনগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ১৫ সদস্যকে -ফোকাস বাংলা
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান (আঞ্চলিক প্রধান) আবুল মোহাম্মাদ এরশাদুল আলমসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে সংগঠনের ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, বিভিন্ন তথ্যসহ দুটি ল্যাপটপ ও ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল, প্রচারপত্র, গঠনতন্ত্র, ট্রেনিং ম্যানুয়েল উদ্ধার করা হয়েছে।
 
গত শুক্রবার রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করে গতকাল শনিবার পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিতে চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
 
পুলিশ জানায়, শিক্ষকতার আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হয়ে জড়াচ্ছে জঙ্গিকা-ে।
 
গতকাল শনিবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম।
 
গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০), মো. ইমতিয়াজ ইসমাইল (২৫), মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী (২২), মোহাম্মদ নাজমুল হুদা (২৭), মো. লোকমান গনি (২৯), মো. করিম (২৭), আব্দুল্লাহ আল মুনিম (২২), কামরুল হাসান প্রকাশ রানা (২০), মো. আরিফুল ইসলাম (২০), মো. আজিম উদ্দিন (৩১), ফারহান বিন ফরিদ প্রকাশ রাফি (২৩), মো. আজিমুল হুদা (২৪), ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৫) ও মো. সম্রাট (২২)।
 
পুলিশ জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীরের আঞ্চলিক প্রধান আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম চট্টগ্রামের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি পুলিশ। বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে এরশাদ বায়েজিদ চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।
 
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম জানান, আটক ১৫ জন হিযবুত তাহরীর উলাইয়াহ বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য। এরশাদুল মেধাবী শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের সংগঠনে টানেন। যারা বিএনসিসি কর্মকা-ে যুক্ত মূলত তাদেরই বেশি টার্গেট করেন। আর এসব জঙ্গি ইসলামের নামে প্রচার চালালেও মূলত সংগঠনের যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের অনৈতিক শিক্ষা দেন। সংগঠনের প্রয়োজনে মোবাইল কেনা, রিচার্জের টাকা না থাকলে বাসা থেকে চুরিরও পরামর্শ দেওয়া হয়। যেসব শিক্ষার্থী তাদের সংগঠনে যুক্ত হয় তারা বাসা থেকে কোচিংয়ে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। বাবা-মাকে মিথ্যা বলেই তারা সংগঠনের কাজে যায়।
 
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, অতিরিক্ত উপকমিশনার পংকজ বড়ুয়া, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 2 =