খরস্রোতা পায়রার বুকে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আকুতি জানিয়ে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিল পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। শেখ হাসিনাও চিঠির জবাবে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। নানা ধাপ শেষে এখন পায়রা সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিরও বৈঠক হয়েছে এরই মধ্যে।
সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস আমাদের সময়কে বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পায়রা সেতুটি নির্মাণ করা হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়- কচুয়া, বেতাগী, পটুয়াখালী, লোহালিয়া, কালাইয়া সড়কের ১৭ কিলোমিটারে পায়রা নদীর ওপর কোনো সেতু নেই। বর্তমানে মির্জাগঞ্জে ফেরির মাধ্যমে স্বল্পপরিসরে যানবাহন চলাচল করে। এতে অনেক সময় ব্যয় হয়। আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নদী পার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাই পায়রা নদীর ওপর পায়রাকুঞ্জ নামক স্থানে এক হাজার ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।