সহপাঠী মিতা |||| বিশ্বজিৎ মানিক
আশির দশকে ছিলাম – কাশীনাথের ছাত্র
সহপাঠী ছিল সবে – পরস্পর মিত্র
পড়ালেখা খেলাধুলা – একসাথে ছিল
কর্মের বেড়াজালে – সব হেরে গেলো।
বিচ্ছিন্ন হয়ে এবে – বাস বহু দেশে
চলে গতি জীবনের – দেখি একপেশে
আমাদের সময়টা – ছিল খুব ভালো
নতুন জীবনে যেন – সুশোভিত আলো।
চার দশক কিভাবে যে – হয়ে গেলো পার
কারো কারো সাথে দেখা – হলোনা তো আর
স্কুল থেকেই কেউ কেউ – ঝরে পড়ে গেলো
কেউ আবার সংসারের – ঘানি কাঁধে নিলো।
রাজনীতি করে কেউ – হলো বড় নেতা
সহপাঠী ছিল তারা – আমাদেরই মিতা
চেহারাটি আছে কিছু – ভাসা ভাসা মনে
সোহাগেতে ভরে দেয় – দেখা হলে সনে।
লেখাপড়া করে কেউ – ফুটিয়েছে আলো
সুখে আছে তারা খুব – আছে বেশ ভালো
উকিল হয়েছে কেউ – কেউ ইঞ্জিনিয়ার
উচ্চ শিক্ষা শেষ করে – কেউ প্রফেসার।
একদিন কথা হয় – হারুন এর সাথে
পরামর্শ দেই তাকে – বন্ধু খুঁজে নিতে
শুরু হলো খোঁজাখুঁজি – সেই দিন থেকে
কথাগুলো বলা হয় – পাওয়া যায় যাকে।
হারুন এর কারুকাজ – ছিল খুব ভালো
একঝাঁক সহপাঠী – খুঁজে পেয়ে গেলো
ইউরোপ আমেরিকা – আর যারা দেশে
মেসেঞ্জারে যুক্ত করে – নেয় সে নিমেষে।
পরপারে গেছে কেউ – ধরাধাম ছেড়ে
চলে গেছে যারা আর – আসবে না ফিরে
সকলের কাছে তাই – অনুরোধ করি
রাখবে স্মরণে মোরে – যাই যদি মরি।
যেখানেই আছো যে বা – ভালো থাকো সবে
কোনদিন দেখা হবে – কার সাথে কবে
যোগাযোগ মাধ্যমে – সংযোগ রাখো
প্রাণভরে বলি মিতা – সুখে তুমি থাকো।
১৭/১০/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।