সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে ‘সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের ঘোষণা
সাংবাদিকদের সব সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী এক মাসের মধ্যে ‘সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের মাধ্যমে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের আন্দোলন বেগবান করার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
তারা বলেছেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে নৃশংসভাবে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ ঘটনার পর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। এমনকি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার জন্য ৭৮ বার তারিখ নেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এভাবে সভা-সমাবেশ করলে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টনক নড়বে না। এ জন্য প্রয়োজন সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
সাগর-রুনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। ডিআরইউ চত্বরে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। সমাবেশের শুরুতে সাগর-রুনি দম্পতির রুহের মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, অপর অংশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজওয়ানুল হক রাজা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন ও রফিকুল ইসলাম আজাদ, বিএফইউজের একাংশের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক প্রমুখ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ফ্ল্যাট থেকে সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক, আর রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। এ হত্যার ঘটনায় মামলা হয় শেরেবাংলা নগর থানায়। চার দিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৬২ দিন পর সংস্থাটি তদন্তে ব্যর্থতা স্বীকার করলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র্যাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই বছরের ২৬ এপ্রিল পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে দু’জনের লাশ তোলা হয়। তখন ভিসেরা আলামতসহ আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই র্যাব বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
এ ছাড়া ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও দারোয়ান এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। -সমকাল
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন