ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন ঝলক-গল্প

 

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন ঝলক-গল্প


 
শাকচুন্নি
 
 
সকালবেলায় মাখন-টোস্ট খেতে খেতে হেঁচকি উঠল সৌমেনের। তিন-চারবার শুনেই রান্নাঘর থেকে বউ চেঁচিয়ে উঠল, আজকে খুব হেঁচকি উঠছে যে তোমার, কী ব্যাপার? কোন শাকচুন্নি তোমার কথা ভাবছে?
এমন সময় সৌমেনের ফোন বেজে উঠল। সৌমেন ফোনটা ধরেই বলল, হ্যাঁ শাশুড়ি মা বলুন… 
 
—————————
 
নো ফেস ম্যাচিং
 
বউকে এত রাতে মেকআপ করতে দেখে বর জিজ্ঞেস করল, তুমি এত রাতে মেক আপ করছ কেন? কোথায় যাবে?
বউ বলল, তুমি চুপ করো। আমি কোথাও যাব না। মেকআপ করা ফেস নিয়ে আমি ফোন লক করেছিলাম। এখন ফোনের লক খুলছে না। বারবার বলছে, নো ফেস ম্যাচিং।
 
—————————
 
মিল
 
প্রেমিক বলল, এই শোনো, আমি তোমার সঙ্গে ব্রেক আপ করতে চাই।
প্রেমিকা জিজ্ঞেস করল, কেন?
প্রেমিক বলল, তোমার সঙ্গে আমার কোনও মিলই নেই।
প্রেমিকা বলল, আরে পাগল, আমি তোর গার্লফ্রেন্ড। যমজ বোন নই, ভাগ
 
—————————
 
ছবি
 
— প্লিজ বাবু, তুমি আমার ছবিগুলো ডিলিট করে দাও। তুমি যা বলবে আমি তাই করব।
পিছন থেকে আসতে আসতে কথাটা শুনতে পেয়ে দাদা বলল, অ্যাই তনু, কী হয়েছে রে?
বোন কাচুমাচু মুখ করে বলল, কিচ্ছু হয়নি দাদা।
দাদা বলল, আমার কাছে কিচ্ছু লুকোস না। তোকে কে ব্ল্যাকমেল করছে বল। আমি সব শুনেছি। চল, পুলিশের কাছে যাব। 
বোন ফ্যাচ ফ্যাচ‌ করে কাঁদতে কাঁদতে বলল, দাদা ছেলেটার কাছে আমার বিনা মেকআপের ছবি রয়ে গেছে।
 
—————————
 
মুরগি
ফুলশয্যার রাতে বর বলল, একটা গান শোনাও না…
বউ বলল, ঠিক আছে, শোনাচ্ছি। বলেই শুরু করল— তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো ছেড়ে দেব না… পরের লাইন বলতে যাওয়ার আগেই বর বলল, জানি তো। ছেড়ে দিলে আমার মতো আর একটা মুরগি তুমি খুঁজে পাবে না।
 
—————————
 
মেসেজ
 
 
হবু বর এসে বলল, তুমি এই সব কি উল্টোপাল্টা মেসেজ করেছ আমাকে?
হবু কনে বলল, কেন কী মেসেজ করেছি?
— তুমি লিখেছ, তোমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি যেন তোমাকে ভুলে যাই। কালকেই তো তোমার বাবা আমার সঙ্গে তোমার বিয়ে ঠিক করে গেল।
হবু কনে জিভ কেটে বলল, ও সরি সরি সরি, ভুল করে মেসেজটা তোমার কাছে চলে গেছে।


সংবাদটি শেয়ার করুন