দেশের সংবাদ

সিলেটে সিসিটিভিতে নেই গণপিটুনির দৃশ্য


যুবক মৃত্যুর ঘটনায় ৪ পুলিশ বরখাস্ত

সিলেটে সিসিটিভিতে নেই গণপিটুনির দৃশ্য

সিলেটে সিসিটিভিতে নেই গণপিটুনির দৃশ্য!  সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হানকে ‘পিটিয়ে’ হত্যার ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করা ছাড়াও আরো তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনায় সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী। ‘অজ্ঞাত’ ব্যক্তিদের নামে তিনি মামলা করেছেন। ওদিকে, ঘটনাস্থল কাস্টঘর এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ অনুসন্ধান করে কোথাও কোন ছিনতাই বা গণপিটুনির ঘটনা দেখা যায়নি। এ ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে এলাকাবাসী গতকাল সমাবেশ থেকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে- খুনিদের গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সিলেটে।

সিলেট নগরীর আখালিয়া নেহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হান উদ্দিন। কাজ করেন নগরীর রিকাবীবাজারের একটি ডাক্তারের চেম্বারে। শনিবার রাত ১০টার পর থেকে রায়হানের কোনো খোঁজ নেই। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে রায়হানের মা সালমা বেগমের মোবাইল ফোনে অচেনা একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোনে কথা বলেন রায়হান উদ্দিন। জানান- তাকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে আসার অনুরোধ জানান সৎ পিতা মো. হাবিব উল্লাহকে। ফোন পেয়ে ভোরে হাবিবউল্লাহ ফাঁড়িতে গেলেও তার ছেলেকে দেখানো হয়নি।

সকাল ১০টায় খবর পেয়ে তিনি ওসমানী মেডিকেলের মর্গে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখেন। এ সময় পুলিশ থেকে জানানো হয়- ছিনতাই করতে গিয়ে নগরীর কাস্টঘরে ‘গণপিটুনিতে’ খুন হয়েছে রায়হান। কিন্তু নির্যাতনের চিহ্ন দেখে পরিবার থেকে দাবি করা হয়- পুলিশি নির্যাতনে খুন হয়েছে রায়হান। ঘটনার পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তের একপর্যায়ে এসআই আকবর ভূঁইয়া সহ চার পুলিশ সদস্যকে গতকাল বিকালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জ্যেতির্ময় সরকার মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ঘটনায় সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ভূঁইয়া সহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান- ঘটনায় পুলিশ কোনো গাফিলতি করছে না। বরং ঘটনাকে ঘটনা হিসাবেই দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। এদিকে- আলোচিত এ ঘটনায় গতকাল আখালিয়া নেহারীপাড়া এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান। তিনি মানবজমিনকে জানিয়েছেন- রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করতে চাইলে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। তিনিও এ ঘটনায় খুনিদের চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় আধাঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় সেখানে যান পুলিশ কর্মকর্তা এসআই কামাল। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস প্রদান করলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। কর্মসূচি চলার সময় সেখানে যান নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী। এ সময় তারা রাস্তায় বসে আর্তনাদ করে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন। পরে স্বজনরা গিয়ে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। এ সময় মা সালমা বেগম অভিযোগ করেন- তার ছেলে রায়হানকে ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনকালেই পুলিশের মোবাইল থেকে ফোন করা হয়েছিল। সে বাঁচার আকুতি জানালেও পুলিশ সদস্যরা তাকে বাঁচতে দেয়নি। তাদের দাবিমতো তো টাকা দেয়ার প্রস্তুতি ছিল। মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। স্ত্রী তান্নী বলেন- পুলিশ হেফাজতে রেখেই তার স্বামীকে খুন করেছে। এটা একটা অপরাধ করেছে। পাশাপাশি খুনের ঘটনার পর তার স্বামীকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে গণধোলাইয়ের নাটক করেছে। তিনি এজন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন। তার স্বামী কখনো অপরাধী ছিলনা বলে দাবি করেন তান্নী। এদিকে- বিক্ষোভের পর এলাকার লোকজন সমাবেশ থেকে রায়হানের খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। এ সময় তারা জানিয়েছে- ফাঁড়ির পুলিশ খুন করেছে। আর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই খুনের ঘটনা নিয়ে নাটক করেছে। দু’টিই সমান অপরাধ। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন। সিলেটে সিসিটিভিতে নেই গণপিটুনির দৃশ্য না থাকলেও পুলিশ নিজেকে বাঁচানোর জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখছে।

মামলায় যা বললেন স্ত্রী: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আখালিয়া নেহারীপাড়ার রায়হান উদ্দিন নামের যুবককে নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। রোববার রাত আড়াইটার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি উল্লেখ করেন- প্রতিদিনের মতো গত শনিবার বিকাল ৩টার দিকে তার স্বামী রায়হান আহমদ নিজ কর্মস্থল নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটস্থ ডা. গোলাম কিবরিয়া ও ডা. শান্তা রাণীর চেম্বারে যান। পরদিন ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে ০১৭৮৩৫৬১১১১ মোবাইল নম্বর থেকে শ্বাশুড়ি (রায়হানের মা সালমা বেগম)-এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর (০১৭৮৭৫৭০৯৪৯)-এ কল দিলে সেটি রিসিভ করেন রায়হানের সৎ পিতা হাবিবুল্লাহ। এ সময় রায়হান আর্তনাদ করে বলেন, তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছেন। তাকে বাঁচাতে  দ্রুত টাকা নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে যেতে বলেন রায়হান। এ কথা শুনে রায়হানের পিতা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রায়হান কোথায় জানতে চাইলে দায়িত্বরত একজন পুলিশ বলেন, সে ঘুমিয়ে গেছে। আর যে পুলিশ রায়হানকে ধরে নিয়ে এসেছেন তিনিও চলে গেছেন। এ সময় হাবিবুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁড়িতে আসার কথা বলেন ওই পুলিশ। পুলিশের কথা মতো হাবিবুল্লাহ আবারো সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফাঁড়িতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ জানায়- রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রায়হানের চাচা ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জরুরির বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রায়হানকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। এ সময় হাবিবুল্লাহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে খবর দিলে তারা গিয়ে ওসমানীর মর্গে রায়হানের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান। মামলার এজাহারে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান, রায়হানের স্ত্রী তানিয়া আক্তার তান্নী।

মোবাইল নম্বর নিয়ে রহস্য: ভোর ৪টা ২০ মিনিটে রায়হানের মা সালমা বেগম তখন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ছেন। এ সময় রায়হানের মা সালমা বেগমের ফোনে ০১৭৮৩ ৫৬১১১১ নম্বর থেকে একটি কল আসে। ফোনটি তখন ধরেন রায়হানের বাবা হাবিবুল্লাহ। ফোন ধরার পর ওই প্রান্ত থেকে পরিচয় দেয় যে সে তাদের ছেলে রায়হান। বাবা ছেলের গলা চিনতে পারেন। এটা তার ফোন নম্বর ছিল না। এ সময় রায়হান কান্নাকাটি করে তার বাবাকে জানায়, পুলিশ তাকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে এসেছে। টাকা নিয়ে দ্রুত পুলিশ ফাঁড়িতে আসার জন্য তাগিদ দেন রায়হান। পরিবারের দাবি- এই মোবাইল নম্বরটি বন্দরবাজার ফাঁড়ির একজন পুলিশের। ওই ফোনের সূত্র ধরেই তারা বন্দরবাজার ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন।

সিলেটে সিসিটিভিতে নেই গণপিটুনির দৃশ্য নখ উপড়ে ও পিটিয়ে খুন করা হয় রায়হানকে
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে জানান, নখ উপড়ে, পায়ে হাটুর নিচে আঘাতের পর আঘাত করে খুন করা হয় সিলেটের যুবক রায়হানকে। হাতের নখেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। আঘাতের কারণে হাতের নখ ও আঙ্গুল কালচে হয়ে গিয়েছিল। লাশের দেহে নির্মম নির্যাতনের এসব চিহ্ন দেখে আঁতকে ওঠেন স্বজনরাও। এমনভাবে কেউ কাউকে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে এমনটি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তারা। অথচ রায়হানকে এভাবেই নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। নিহতের ভাই আব্দুর রহমান গতকালও মানবজমিনের কাছে জানিয়েছেন- ‘গণপিটুনি দিলে তো গোটা শরীরেই জখম থাকার কথা। কিন্তু নির্যাতনের চিহ্ন কেবল হাটুর নিচে আর হাতের আঙ্গুলে। এসব স্থানে কেবল পুলিশই নির্যাতন করে। লাশ দেখেই আমরা বুঝতে পেরেছি রায়হানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন- ‘যারাই লাশ দেখেছে তারা একই কথা বলছে। পায়ের দু’টি নখ উপড়ানো ছিল। এ কারণে পায়ের সব আঙ্গুল ফুলে গিয়েছিল। কালচেও হয়ে যায়। হাতের অবস্থাও একই। হাতে লাঠি দিয়ে আঘাতের ফলে দুই হাতের সব আঙ্গুলই ফুলে উঠেছিল। রক্ত জমাট বেধে কালো হয়ে যায়।’ আব্দুর রহমান জানান- ‘লাশ দেখে আমরা গণপিটুনির বিষয়টি বিশ্বাস করিনি। কারণ- গণপিটুনি দিলে তো গোটা লাশে আঘাতের চিহ্ন থাকতো। কিন্তু হাত ও পা ছাড়া আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। আঘাতের পর আঘাতের কারণেই তার ভাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে জানান আব্দুর রহমান।’

এদিকে- ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে। ওই রিপোর্টেও পুলিশ হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন উল্লেখ করেছে। বাম পায়ের এক পাশে কাটার আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই কাটা অংশ দিয়ে রক্ত ঝরেছে। তবে এই রক্ত ক্ষয়ের কারণে তার মৃত্যু হয়নি। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে দেয়ার সময় ছাড়পত্রে উল্লেখ ছিল কার্ডিয়াক ফেইলর এবং শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি। এদিকে- পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী নগরীর সুইপার কলোনির কাস্টঘর এলাকার কোথাও কোনো গণপিটুনির প্রমাণ মেলেনি। স্থানীয়রা গণপিটুনির কথার সত্যতা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানাতে পারেন নি। তারা গণপিটুনির বিষয়টিকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন। কাস্টঘর এলাকা মহানগরীর ১৪নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুমিন। রোববার বিকালে মুনিম গণমাধ্যমের মারফতে খবরটি জানতে পারেন।

কাউন্সিলর মুনিম জানান- গণপিটুনির খবর শোনার পর তিনি স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী সহ সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কেউ কোনো গণপিটুনির খবর তাকে জানাতে পারেননি। গণপিটুনির কোনো খবরও কারো কাছে আসেনি বলে দাবি করেন এলাকার মানুষ। কাউন্সিলর জানান- বিষয়টির সত্যতা জানতে তিনি কাস্টঘর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ অনুসন্ধান করেছেন। রোববার ভোররাত ২টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে থাকা সব ফুটেজ বার বারই দেখেছেন। কিন্তু ওই সময়ে কোথাও ছিনতাই কিংবা গণপিটুনির মতো কোনো ঘটনা তিনি সিসিটিভিতে খুঁজে পাননি। তিনি পুলিশের ওই দাবিকে মিথ্যা বলে জানান। গতকাল কাস্টঘরের সুইপার কলোনির বাসিন্দারা জানিয়েছেন- গত দুইদিনের মধ্যে কাস্টঘরে কোনো ছিনতাই কিংবা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ কোথায় থেকে এই ঘটনা পেলো সেটি এখন বড় প্রশ্ন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- কাস্টঘর অপরাধপ্রবণ এলাকা। মাদকের হাট বলেও পরিচিত। কিন্তু দিন ও রাতের যেকোনো সময় কাস্টঘরে কোনো ঘটনা ঘটলে স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকার মানুষ সব জানতে পারেন। কিন্তু গণপিটুনির মতো কোনো ঘটনা ওইদিন কিংবা রাতে ঘটেনি। পুলিশ ছিনতাই ও গণপিটুনির ঘটনা সাজিয়ে মূল বিষয়টি আড়াল করতে চাইছে। তারা এই খুনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান।

-মানবজমিন থেকে

সংবাদটি শেয়ার করুন