স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে কানাডা পালালেন আশরাফুল!
কানাডার সাসকাচুয়ানে বসবাসরত আফরোজা বেগমের পুতে রাখা লাশ ঢাকায় তার স্বামীর বাসার উঠোন থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকার পুলিশ। পুলিশের ধারনা তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে কয়েকদিন আগে। আফরোজা বেগম এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রেখে গেছেন। মেয়েটি সাসকাচুয়ানের একটি হাইস্কুলে গ্রেড ইলেভেনে পড়ে আর ছেলেটি মন্ট্রিয়লের একটি ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়ে। ছেলে ও মেয়ে দুজন আফরোজা বেগমের প্রথম ঘরের সন্তান।
গত বছর সাসকাচুয়ান বসবাসরত আশরাফুলের সাথে তার বিয়ে হয়। এ বছরের গোড়ার দিকে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে যান। আশরাফূল পালিয়ে কানাডায় চলে এসেছে।
রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২৭ মে দুপুরে মোছা. আফরোজা (৪০) নামের ওই গৃহবধূ দক্ষিণখানের নদ্দাপারা থেকে নিখোঁজ হন। তার বাড়ি নীলফামারীর ডোমারের ভোগড়াবুড়ি গ্রামে।
পুলিশের ধারণা, আফরোজার স্বামী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কানাডায় পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আফরোজার স্বামী আশরাফুলের পরিবারের চারজনকে আটক করা হয়েছে।
দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন বলেন, ‘আফরোজার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম থানায় বোন নিখোঁজ জানিয়ে জিডি করেন। তদন্তে গিয়ে আফরোজার শ্বশুর, জা ও ভাসুরের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে, আফরোজা নিখোঁজ হয়নি। তাকে হত্যা করে পুঁতে রাখা হয়েছে।’
‘এরপর দক্ষিণখানের দক্ষিণপাড়ায় আফরোজার শ্বশুর বাড়ির সীমানা দেয়ালের পাশে মাটির নিচ থেকে গতকাল বুধবার রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়। কুপিয়ে আফরোজাকে হত্যা করে গর্ত করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তার ডান বাহুতে ও মাথার পেছনে পাঁচটি কোপের জখম রয়েছে,’ বলেন এসআই।
তিনি আরও বলেন, ‘এক বছর আগে আশরাফুল আলমের সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। এটা আশরাফুলের চতুর্থ বিয়ে। তার আগের স্ত্রীর ঘরেও সন্তান রয়েছে। আফরোজারও আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল।’
এসআই রেজিয়া খাতুন বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে আফরোজাকে হত্যা করা হয়। আশরাফুল এখনো পলাতক রয়েছে।’
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল একজন কানাডাপ্রবাসী। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তিনি গত রোববার কানাডা চলে গেছেন।’