হত্যার দায়ে হাতিকে থানায় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ
ভারতের মধ্যপ্রদেশে হত্যা করেছে এক হাতি এমন অভিযোগেই হাতিটিকে ধরে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। পরে দেখা যায় তাকে থানার বাইরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয় বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করছে কর্তৃপক্ষ। মধ্য প্রদেশের রাজধানী ভোপালে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই হাতিটির নাম নানকি।
নরেন্দ্র নামে মাহুতের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ হাতিটিকে ধরে এনে থানার বাইরে বেঁধে রেখেছে। পরে খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরেও। জানা যায়, নানকিকে সারা রাত বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং পরদিন সকালে মুক্ত করার সময় সে রেগে গিয়ে ওই মাহুতকে হত্যা করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নানকির দেখভাল করত ৫ জন। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াত হাতিটিকে নিয়ে। হাতি দেখে লোকজন যে টাকা দিত, তা দিয়েই পেট চলত সবার। এছাড়া মাহুত নরেন্দ্রকে বেশ পছন্দও করত নানকি। কিন্তু সারা রাত একা বেঁধে রাখাতেই চটে যায় হাতিটি।
গত বুধবার রাতে ভানপুর ব্রিজের কাছে ফাঁকা জমিতে নানকির মাহুত নরেন্দ্র তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যায়। সারা রাত ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে নানকি।
পরেরদিন সকালে নানকির কাছে গেলেই, মাহুতকে শুঁড়ে জড়িয়ে বেশ কয়েকবার আছাড় দিয়ে, পিষে মারে হাতিটি। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
যদিও মৃত ওই মাহুতের বন্ধুরা দাবি করে, অতিরিক্ত গরমের কারণেই হিংস্র হয়ে উঠেছিল হাতিটি। এর আগেও নাকি এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছিল নানকি। দুই বছর আগে এক ব্যক্তিকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে সে। আর গত বছর এক ব্যক্তির উপর আক্রমণ করে।
পুলিশ ইন্সপেক্টর সুরেশ চন্দ্র নগর এনিয়ে বলেন, হাতিটিকে থানার বাইরে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা বন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, হাতিটিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়েছি। আপাতত হাতিটি শান্তই আছে। কোনও ক্ষতি করেনি। মাহুতের এক বন্ধু হাতিটির ওপর নজর রাখছেন।
হত্যার আগে হাতিটি ওই মাহুতকে তুলে নিয়ে কয়েকবার মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে তারপর তাকে পায়ে পিষে মারে।
নিহতের ভাগ্নে দীপক কাপাডিয়া, তিনিও মাহুতের বন্ধুর মত একই দাবি করেছেন, হাতিটি দুই বছর আগে একজনকে হত্যা করেছিল এবং গত বছরও একজনকে আক্রমণ করেছিল। তিনি বলেন, হাতিটিকে বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।