প্রবাসের সংবাদ

হাসপিলের সঙ্গে কে এই যুবতী? (ভিডিও)


বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে খুনের দায়ে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারি টাইরেস ডেভন হাসপিলকে (২১) গ্রেপ্তার করা হলেও তার সঙ্গে থাকা এক তরুণীকে ঘিরে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পরে তাদেরকে একই এলাকায় একটি বাসা থেকে বের হওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে টি-শার্ট পরিহিত হাসপিলের বামপাশে সমান তালে হাঁটতে দেখা যায় ওই তরুণীকে। তার পরনের পোশাক কালো। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে এই তরুণী? সে কেন হাসপিলের সঙ্গে? এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কি সেও জড়িত? হাসপিলের বসবাস ব্রুকলিনের প্রোসপেক্ট পার্কে। কিন্তু এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সে দৃশ্যত আত্মগোপন করে ম্যানহাটানের নোহো এলাকায় ক্রোসবি স্ট্রিটের একটি এপার্টমেন্টে। অল্প সময়ের জন্য সে এটা ভাড়া নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। খুনের ঘটনাস্থল থেকে তার নতুন এই অবস্থানের দূরত্ব এক মাইলেরও কম।

সোমবার বিকেলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ফাহিম সালেহকে। এরপর বুধবার ওই যুবতীর সঙ্গে তাকে একটি ভবন থেকে বের হয়ে হাঁটতে দেখা যায় ফুটপাত ধরে। এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে লন্ডনের ডেইলি মেইল।

ভিডিওটি দেখতে হলে উপরে ক্লিক দিন


এতে ওই যুবতীকে রহস্যময়ী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ডেইলি মেইলের হাতে আসা ওই ভিডিও সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটা এক্সক্লুসিভ ভিডিও। এতে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ওই যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে হাসপিলকে ক্রোসবি স্ট্রিটে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের ঠিক দু’দিন পর ওই ভিডিওতে যে যুবতীকে দেখা যায়, তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা অথবা এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানা যায় নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এওয়াইপিডি)।

পাশের একটি ভবনে একজন প্রোপার্টি ম্যানেজার ডেইলি মেইলকে বলেছেন, তিনি মনে করেন হাসপিল এ সপ্তাহেই কোনো এক সময় ১৭২ ক্রোসবি স্ট্রিটে উঠেছে। সম্ভবত স্বল্পকালীন ভাড়ায় উঠেছিল সে। ওদিকে শুক্রবার সকালের আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ম্যানহাটানোর নোহো এলাকা থেকে। এর কয়েক ঘন্টা পরে ক্যামেরায় তাকে দেখা গেছে মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক পরা। পিপিই ধরনের পোশাক পরা। তাকে প্রহরা দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এমন দৃশ্য দেখা গেছে সেভেন্থ প্রেসিঙ্কটের বাইরে। ডেইলি মেইল যে সার্ভিলেন্স ভিডিও হাতে পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ১৭২ ক্রোসবি স্ট্রিট থেকে হাসপিলকে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে হেফাজতে নিয়েছে নিউ ইয়র্ক-নিউ জার্সি রিজিয়নাল ফিউজিটিভ ফোর্স।

এনওয়াইপিডির প্রধান ডিটেকটিভ রোডনি হ্যারিসন বলেছেন, ব্যক্তিগত সহকারি হিসেবে ফাহিম সালেহর অর্থনৈতিক দিক দেখাশোনা করতো হাসপিল। কিন্তু সালেহর প্রায় এক লাখ ডলার চুরি করে নেয় সে। এ বিষয়টি ধরে ফেলেন সালেহ। কিন্তু এখানে মানবতা দেখান সালেহ। তিনি বিষয়টি পুলিশে রিপোর্ট না করে তাকে পর্যায়ক্রমে ওই অর্থ ফেরত দেয়ার সুযোগ করে দেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পুলিশ কি করে জানতে পারলো হাসপিল তার অর্থ চুরি করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি অনেক কিছুকে সহজ করে দেয়। ঠিক এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তারা সালেহর টেক্সট ম্যাসেজ পরীক্ষা করা শুরু করেন। তাতে দেখতে পান ওই অর্থ চুরির জন্য হাসপিলকে অভিযুক্ত করেছেন সালেহ। ব্যস তদন্তকারীরা তখনই হাসপিলের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। তবে এই অর্থ কখন চুরি করেছে হাসপিল তা জানা যায় নি। -সূত্র মানবজমিন

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন