ছবি-টুইটার
করোনা থেকে বাঁচতে হ্যান্ডসেক ছেড়ে নমস্কার করা শিখে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে.. নিশ্চয়ই মনে আছে অতুল প্রসাদ সেনের লেখা গানের এই পঙ্ক্তিটি। ভারত জগত্ সভার শ্রেষ্ঠ আসনে কিনা এ তর্ক চলতেই পারে, কিন্তু করোনা আতঙ্কে বিশ্ব যেভাবে জুবুথুবু, তখন ভারতের সংস্কৃতিই পথ দেখাচ্ছে। কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এখন করমর্দন (হ্যান্ডসেক) ছেড়ে এই সুযোগে নমস্কার জানানোর অভ্যেসটা ঝালিয়ে নিন। ভুল কিছু বলেননি হয়ত। ভারতীয়রা তাঁর এই বার্তা কতখানি নিয়েছেন, তা হয়ত জানা নেই। কিন্তু বিদেশিরা ভারতের এই সংস্কারকে আঁকড়ে ধরেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-ই বলছে, করমর্দন করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য ‘আদর্শ’ মাধ্যম। অতএব বাধ্য হয়েই নমস্কারের দ্বারস্থ হতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নিতানিয়াহু অভ্যর্থনা জানাতে নমস্কারই জানাচ্ছেন।
ভারতের শতাব্দী প্রাচীন সংস্কার নমস্কার। অতিথিদের নমস্কার করেই অভ্যর্থনা জানানো হয়। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসেও মিলল নমস্কার করে অভিবাদনের নিদর্শন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার পরস্পরকে নমস্কারের মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান “আজকে আমরা করমর্দন করিনি। তখন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তাহলে আপনারা শুভেচ্ছা বিনিয়ম কীভাবে করলেন?
ট্রাম্পের জাবাব আসার আগেই আইরিশ প্রধানমন্ত্রী দু হাত জড়ো করে নমস্কার করে বুঝিয়ে দিলেন। ট্রাম্পও তখন হাসিমুখে ফের নমস্কার করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার দরুন তাঁকে সকলের সঙ্গে করমর্দন করতে হত। তিনি সদ্য ভারত থেকে ফিরে এসেছেন এবং নমস্কার করার প্রথা সাদরে গ্রহণও করেছেন। পাশাপাশি জাপানিদের মাথা নিচু করে অভিবাদনের পদ্ধতিও শিখে নিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় ভারত এবং জাপান দুই দেশের অভিবাদন পদ্ধতিই গ্রহণীয়। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা আক্রান্ত ১,২৫,২৯৩ জন। প্রায় ৫,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রমণকে বিশ্ব-মহামারির আখ্যা দিয়েছে।