একাত্তরের ভয়াল কথা – পড়ছে ভিষণ মনে
প্রথম মাসে খোকার পিতা – ছিলেন না তার সনে
কৈলাশহর পৌঁছে দিয়ে – ফেরত আসেন বাড়ি
বাড়ি ফিরে রান্না ঘরে – পাননি খোঁজে হাঁড়ি।
বাবার বন্ধু ছিলেন গাঁয়ের – মুসলিম লীগের নেতা
তাঁর আশ্রয়ে বাঁচান জীবন – খোকা বাবুর পিতা।
পাঠিয়ে দিলেন হাঁটা পথে – আপন কন্যার ঘরে
নবীগঞ্জের কোড়াগাঁও – চল্লিশ কিলো দূরে।
পিসির বাড়ি থেকে খোকা – ক্যাম্পে চলে যায়
সঙ্গে ছিলেন মা বোন তার – ক্যাম্পটি ফটিকরায়
ফটিকরায় স্কুলে তখন – অনেক লোকের ভীড়
পিতার নামেই রেশন কার্ড – আগেই ছিল স্থির।
পাকিস্তানে খোকার পিতার – আঁটকে যাবার খবর
কতৃপক্ষ জেনে গেলে – প্রমাদ বাড়ে জবর
রেশন খোকার বন্ধ হলে – নেই যে খাবার ঘরে
স্বেচ্ছাসেবীর বদৌলতে – মিলছে রেশন পরে।
পঁয়ত্রিশ দিন পর, খোকার পিতা – ক্যাম্পে হলেন হাজির
বন্ধ হলো কানাকানি – অপূর্ব এক নজীর
ভাবছিলো সব খোকার পিতা – নেই কি’বা আর বেঁচে
খোকার পিতা ফিরলো যবে – উঠলো সবাই নেচে।
২০/০৪/২০২১ খ্রিস্টাব্দ।