কেউ বলতে পারছে না মন্ত্রীর ফোনটা গেল কোথায়
মনি আচার্য্য | পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের হদিস মেলেনি। বিজয় সরণি, তেজগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান ও কাফরুল এলাকার ডজনখানেক চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাদের কেউ বলতে পারছেন না লাখ টাকার মোবাইল ফোনের রহস্য।
স্থানীয় ছিনতাইকারী ও ছিঁচকে চোরদের দাবি, ফোনটি তাদের কেউ ছিনতাই করেননি। তাদের নেটওয়ার্কেও পরিকল্পনামন্ত্রীর ফোন ছিনতাইয়ের তথ্য নেই।
সব মিলিয়ে ফোন উদ্ধারের কূল-কিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। ফোনটি উদ্ধারে মাঠে নেমেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। তবে এখনো কোনো সূত্র উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। আশপাশের এলাকার ক্যামেরাগুলো থেকে ছিনতাইয়ের সময়ের ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কিছুই পায়নি পুলিশ।
কাফরুল থানা পুলিশ জানায়, ইতোমধ্যে চন্দ্রিমা উদ্যানের ভেতরের টোকাই-ছিনতাইকারী, শেরে বাংলা মাঠ সংলগ্ন এলাকার টোকাই, আগারগাঁওসহ আশপাশের এলাকার স্থানীয় ও সন্দেহভাজনদের থানায় আনা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মোবাইলের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জিএম ফরিদুল আলম বলেন, ‘ফোন উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। একাধিক লোককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এখনো ফোন উদ্ধারের মতো কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। ছিনতাই হওয়ার জায়গা ও এর আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। তবে সিসিটিভি ফুটেজে ছিনতাইয়ের ঘটনার তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভাসমান দোকানি, স্থানীয় লোকজন ও স্থানীয় ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কিছু লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে ফোন উদ্ধারের মতো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
মামলার তদারকি কর্মকর্তা কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পুলিশ, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। তবু এখনো কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। ফোন উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
এদিকে মামলার ছায়া তদন্ত করা ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনাটি মূলত থানা পুলিশ দেখছে। আমরা থানা পুলিশকে এ বিষয়ে সাপোর্ট দিচ্ছি। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় নেই। ঠিক কোন জায়গায় ছিনতাই হয়েছে সেই স্থানটি এখনো নির্দিষ্ট করা যায়নি। স্থান নির্ধারণ করা গেলে এবং ওই স্থানের আশপাশে অথবা রাস্তায় সিসিটিভি থাকলে তা দেখা হবে। ফোন উদ্ধারে ডিবি কাজ করে যাচ্ছে।’
যেভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি
রোববার (৩০ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে বিজয় সরণি সিগন্যালের জটে পড়ে মন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ি। এ সময় মন্ত্রী গাড়ির গ্লাস খুলে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। তখনই এক ছিনতাইকারী তার হাত থেকে মোবাইলটি ‘ছোঁ’ মেরে কেড়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে একই দিনে ডিএমপির কাফরুল থানায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী একটি মামলা করেন।
চুরি যাওয়া ফোন নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ৩০ মে সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে ৬টা ৪৫ মিনিটে বিজয় সরণি এলাকায় গাড়িটি সিগন্যালে অপেক্ষা করছিল। এ সময় গাড়ির এসি বন্ধ করে দিয়ে কাঁচ নামিয়ে দেই।
এম এ মান্নান বলেন, গাড়িটা দাঁড়িয়ে ছিল। আমি পেছনের সিটে বসা ছিলাম, আমার হাতে মোবাইল ছিল। আমি মোবাইলে কিছু একটা করছিলাম। হয়তো নিউজ পড়ছিলাম। হঠাৎ করে এক ঝলকে অবিশ্বাস্য রকম গতিতে ঝড়ের মতো এসে হাত থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে চলে গেল। আমি দেখিনি লোকটাকে। আমাদের লোক গাড়ি থেকে নামল। কিন্তু ঐ ৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্যে লোকটা কোথায় মিশে গেল। -ঢাকা পোষ্ট ( কেউ বলতে পারছে না মন্ত্রীর ফোনটা গেল কোথায় )
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান