মেঘের অপেক্ষার শেষ হবে কবে?
মেঘের আড়ালেই ঢাকা পড়েছে মেঘ। জীবন কি বুঝার আগেই অন্ধকার জাপটে ধরে তাকে। অমাবস্যায় হাবুডুবু খাওয়া মেঘের অপেক্ষার পালা শুরু হয় নয় বছর আগে । আজও অপেক্ষায়। দীর্ঘ অপেক্ষায় হয়তো আজ সে পাথর হয়ে আছে। এ অপেক্ষার পালা শেষ হবে কবে? এটাও তার অজানা। কত প্রতিশ্রুতি শুনেছে মেঘ। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।
তারপরও অপেক্ষার ডালি হাতে বসে আছে। এই মেঘ আর কেউ নয়। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির একমাত্র সন্তান। পুরো নাম মাহির সরওয়ার মেঘ। মেঘের বয়স যখন সাড়ে পাঁচ বছর তখনই তার বাবা-মাকে হত্যা করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। ভাগ্য গুণে বেঁচে যায় সে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে অপেক্ষায় পার করছে দিন। শিশু থেকে এখন কিশোর। বাবা-মাকে ছাড়া নয়টি বছর কাটিয়েছে হাসি-কান্নার কাব্যে। কষ্টের মেঘ এখনো কাটেনি। তাই তো গতকাল বাবা- মা’র সহকর্মীদের সঙ্গে মেঘও রাজপথে দাঁড়িয়েছিল। একটাই চাওয়া-অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয় তার জীবন থেকে। বাবা-মা’র হত্যার বিচার যেন দ্রুত হয়। ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টেলিভিশনে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। মেঘ ঘটনার সময় সেই বাসাতেই ছিল। মনের মধ্যে বাবা-মা’র মৃত্যুর ক্ষত নিয়ে বড় হতে থাকা মেঘ আজ কৈশোরে পা দিয়েছে। কিন্তু এখনো জানতে পারেনি তার বাবা-মা’র হত্যাকারী কারা? এখনো তদন্তে ঘুরপাক খাচ্ছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড। একই সঙ্গে মেঘেরও অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হচ্ছে। সবার একটাই প্রশ্ন- মেঘের এ অপেক্ষার পালা শেষ হবে কবে?