জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী : ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু আজ
সিবিএনএ অনলাইন ডেস্ক/ কানাডা ১৬ মার্চ, বাংলাদেশ ১৭ মার্চ ২০২১ ।
তাঁর ১৮ মিনিটের ভাষণ মন্ত্রের মতো মুগ্ধতা ছড়াল। গণমানুষের মঞ্চ কাঁপল, কাঁপল সারাদেশ। স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত মানুষ যুদ্ধে ছিনিয়ে আনল স্বাধীনতার সূর্য। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যার ডাকে দেশবাসী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে আর কে হতে পারে? সে তো টুঙ্গিপাড়ার ‘খোকা’ নামের সেই ছেলে, বড়বেলায় যার পরিচিতি হলো শেখ মুজিব নামে।
শেখ মুজিব মানে শেখ মুজিবুর রহমান- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জগতে জ্যোতির্ময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন আজ (১৭ মার্চ)। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে, তার টুঙ্গিপাড়ায় যেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তেমনই দেশের সর্বত্র নানা আয়োজন ছড়িয়েছে অন্য আলো।
বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ক্ষণজন্মা পুরুষ। ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন এবং করছেন।
বিগত বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তী কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয়কে দেখেনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি ছিলেন হিমালয় সমান। সুতরাং হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি।’
জাতির জনকের জন্মবার্ষিকীর এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবেও উদযাপিত হবে। এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন’।
শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যুদ্ধে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরও এটি। এ কারণে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ১০ দিনের কর্মসূচি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোয় দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দিবসটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
গত বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন থেকে শুরু হয় মুজিববর্ষ। এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে আগেই। বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। গত বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হলেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আজ (১৭ মার্চ) থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন।
আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন আলাদা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
অনুষ্ঠানমালা
১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো- ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।
১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ ও ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এ পাঁচদিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
১৭ মার্চ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৮ মার্চ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চ ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৩ মার্চ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকাভা, ২৪ মার্চ পোপ ফ্রান্সিস এবং ২৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন ও মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু তাকাশি হাওয়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হাওয়াকাওয়া ভিডিও বার্তা দেবেন।
১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।
পাঁচদিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মহড়ায় অংশ নেন দেশ-বিদেশের শিল্পী আর কলাকুশলীরা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির প্রধান আসাদুজ্জামান নূর সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। আমাদের প্রথম দিকে যে প্রস্তুতি ছিল, সেটা পুরোটাই ছিল ভার্চুয়াল। পরে এখানে কিছু পরিবর্তন আসে। আমাদের বেশ কিছু বন্ধুরাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সশরীরে উপস্থিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাতে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে অনুষ্ঠানগুলো সাজানোর নির্দেশ দেন।
১০ দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজারের মত শিল্পী ও কলাকুশলীর অংশগ্রহণ থাকছে বলে জানান সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী নূর। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারতের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মমতা শংকরের নির্দেশনায় নৃত্যশিল্পীরা নাচের মহড়ায় অংশ নেন। বুধবারের সাংস্কৃতিক আয়োজনে তার এই দল ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবর’সহ কয়েকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবে।
অভিনেতা-নির্দেশক তারিক আনাম খানের নির্দেশনায় ‘সঞ্চালনা ড্রামার’ মহড়া করেন বেশ কয়েকজন শিল্পী। তাদের এই পরিবেশনায় জাতির জনকের আজীবন সংগ্রামের ধারাবাহিকতা তুলে ধরা হবে।
জাতির জনক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি লাভ করেন। তার সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন-যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু আকাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে লিখেছিলেন- বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেওয়া ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে তার জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। সূত্রঃ ঢাকা পোষ্ট
এস এস/সিএ