অভিমানে আটকা বিদেশযাত্রা
- আসলে বলতে গেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি রাজনৈতিক হিসেবে হবে; আর খালেদা জিয়া কোনোভাবেই সরকারের কাছে মাথানত করবেন না : ভাষ্য পরিবার ও দলের
- খালেদা জিয়া যদি ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন তাহলে তার বিদেশ যাত্রায় বাধা থাকবে না, সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে : আওয়ামী লীগ
- মুক্তি সরকারের মানবিক ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে -বদিউল আলম মজুমদার, সুজন সম্পাদক
- তিন কারণে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে যেতে পারেন -শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক
সরকারের সংকেতের অপেক্ষায়
ভালো নেই সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেও লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় তীব্র অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে আরও উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এরপরই পর্দার আড়ালে রাজনৈতিকভাবে পরিবারের মাধ্যমে চলে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে জোর চেষ্টা। হঠাৎ সে মুহূর্তে সংসদে ও বিশেষ ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, দোষ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে খালেদা জিয়াকে। ক্ষমা চাওয়ার বাইরে অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ নেই।
এ নিয়ে রাজনীতি, কূটনৈতিক পাড়ায় চলছে বিশেষ আলোচনা। এ নিয়ে বিএনপির দুই নীতিনির্ধারক ও পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানান, সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে চিকিৎসা এবং মুক্তির চেষ্টা সমানভাবে চলছে। সরকার না চাইলে পার্লামেন্টে আলোচনা হতো না, নিশ্চয়ই এর পেছনে সরকারের কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে সাধারণ কোনো মানুষ নন, সাধারণ রোগীও নন, তিনি দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের প্রধান। আসলে বলতে গেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি রাজনৈতিক হিসেবে হবে। এখন সরকারের হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাটা গুরুত্ব পেয়ে গেছে। যার ফলে এখন নোংরামিটা বেশি দৃশ্যত। এটি দেশের সব মানুষই বুঝেন। খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্য আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি। যে চিকিৎসাগুলো বাকি রয়েছে দেশের হাসপাতালে সম্ভব নয় বলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা সেই চিকিৎসাগুলো দেশের বাইরে করাতে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে প্রস্তুত। আমরা এখন সরকারের সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছি। পরিবার সরকারের সংকেত পেলে অবশ্যই জোরালো ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে এটিও বলতে হয়, খালেদা জিয়া কোনোভাবেই সরকারের কাছে মাথানত করবেন না।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তার পুরাতন রোগ ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এখন তার হার্ট, কিডনি ও লিভারের অবস্থা ভালো নয়। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা সব সময় চিন্তিত। যেকোনো সময় যেকোনো কিছুই ঘটে যাওয়ার মতো শঙ্কা রয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারাও চেষ্টা করছেন। তবে নিজ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বা উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় যেমন ছিলেন এখনো তেমনই আছেন। অর্থাৎ তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আগের তুলনায় তার অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কোনোটাই হয়নি। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতোই আছে। দেশের বাইরে চিকিৎসাগুলো করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়গুলো পরিবারকে জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। অর্থাৎ তিনি হাসপাতাল থেকে যেমন এসেছেন, তেমনই আছেন। কোনো পরিবর্তন নেই। আমরা প্রতিদিনই ম্যাডামকে দেখতে তার বাসায় যাই। তাকে বাসায় রেখে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো যায়, তার সবগুলোই করানো হচ্ছে। তিনি সাহসে ও দৃঢ়বলে মজবুত রয়েছেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সরকারের ক্ষমার বক্তব্য নিয়ে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া কোনো অপরাধই করেন নাই, তার ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যা ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছুই নয়।’ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা বলে আমরা মনে করি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার নেতিবাচক মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করছি। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সাংবিধানিক এবং প্রচলিত আইনের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের আপসহীন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তার প্রাপ্য জামিন পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি। অথচ একই ধরনের মামলায় অন্যান্য প্রায় সকল অভিযুক্তদের জামিন দেয়া হয়েছে। যেখানে খুনের মামলায়, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি অথবা আজীবন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুক্তি নিয়ে বিদেশে চলে যেতে পারে, সেখানে এদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন, জনগণের ভোটে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নির্বাচিত তিনবার প্রধানমন্ত্রী ও দুইবার বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন, তাকে মানবিক কারণে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাবে না এটা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা আশা করছি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে। তার প্রাপ্য জামিনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আমার সংবাদকে বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা এ ব্যাপারে অতীতে অনেকবার নানাভাবে চেষ্টা করেছে। আদালতকেন্দ্রিক, রাজনৈতিককেন্দ্রিক এবং পরিবারের মাধ্যমেও। যদিও আদালত জামিন দেয়ার ব্যাপারে ক্ষমতা রাখে। আদালত ইচ্ছা করলে জামিন দিতে পারতো কিন্তু আদালত দেয় নাই। দুর্ভাগ্যজনক আমাদের দেশেতো আদালত স্বাধীন না, এটাতো আদালতের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সরকারের সবুজ সংকেত না থাকলে আদালত মুক্তি দেবে কেন, আমি নিশ্চিত না। এখন পরিবার আবার চেষ্টা করছে। আইনমন্ত্রী দেখলাম সংসদে কথা বলছেন। বিষয়টি সরকারের মানবিক ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন আমার সংবাদকে বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে মানবিক কারণে যেকোনো মানুষেরই মুক্তি কিংবা চিকিৎসা নিশ্চিতের অধিকার রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায় আইনে তার চিকিৎসা নিশ্চিতের কথা জোর দিয়ে বলা আছে। সমপ্রতি খালেদা জিয়ার বিষয়ে কয়েকটি রোগের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় বলে তার দল থেকে বলা হচ্ছে, দলটি চিকিৎসকের বরাত দিয়েও বলেছেন চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে। এ পরিস্থিতিতে আমি বলবো আইনগত দিক থেকে যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে তিনটি দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন। প্রথম, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়। তার এখন প্রায় ৭০-এর উপরে বয়স হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মহিলা। আইনে মহিলাদের চিকিৎসা নিশ্চিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তৃতীয়ত, তিনি রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে। সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় ও মানবিক কারণে মুক্তি পেতে পারেন।’
ক্ষমার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব দেবে সরকার
ফের আলোচনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার বিদেশ যাত্রা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নিতে চান দল ও পরিবার। তবে বিএনপির নেতারা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রায় বড় বাধা সরকার। দলটির এমন অভিযোগ মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার সুযোগ নেই। তিনি নিজের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। খালেদা নিজের দোষ স্বীকার করলে সরকার মানবিক বিবেচনা করবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলটি।
তথ্যমতে, দীর্ঘ ২৫ মাস কারাগারে থাকার পর মানবিক কারণ দেখিয়ে গত বছর মার্চ মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। সে সময় তার মুক্তির পর আইনমন্ত্রী বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না— এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিএনপির দাবি, বর্তমানে লিভার, কিডনি ও হার্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রায় প্রধান বাধা সরকার। মূলত খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই দেশের বাইরে যেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটির সিনিয়র নেতারা। তবে বিএনপির এমন অভিযোগ মানতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বলছেন, আইন নিজস্ব গতিতে চলে। সরকার আইনের ওপর কখনো হস্তক্ষেপ করে না। দলটির দাবি- কেউ যদি নিজের দোষ স্বীকার না করে ও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করে, তাহলে কি রাষ্ট্র তাকে এমনি এমনি ক্ষমা করে দেবে! কখনো দেবে না। তাই খালেদা জিয়া যদি ক্ষমা চাওয়ার সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন তাহলে সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রায় বাধা থাকবে না। মূলত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার মানবিক সরকার।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম আমার সংবাদকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রার বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলে দিয়েছেন, আইন অনুযায়ী তার সেই সুযোগ নেই। তিনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দোষ স্বীকার করতে হবে এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। খালেদা জিয়া যদি নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান অবশ্যই সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করবে এবং তাকে উন্নত চিকিসার জন্য বিদেশ যেতে দেবে। কেউ ক্ষমা না চাইলে তো তাকে ক্ষমা করা যায় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানবিক দিক চিন্তা করে বিদেশ না যাওয়ার শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছে সরকার। যা কয়েক দফা বৃদ্ধির পর এখনো যা বলবৎ আছে। কেউ যদি নিজের দোষ স্বীকার না করে, রাষ্ট্রপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করেন। তাহলে কি রাষ্ট্র তাকে এমনি এমনি ক্ষমা করে দেবে! কখনো দেবে না। তাই তিনি যদি ক্ষমা চাওয়ার সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন তাহলে তার বিদেশ যাত্রায় বাধা থাকবে না এবং সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, যদি কেউ তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, অবশ্যই সে বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ চিন্তা করেন এবং অনেক সময় সাজা মাফ করে দেন। বেগম খালেদা জিয়া যদি নিজের দোষ স্বীকার করে নিজে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সরকার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করবে। সরকার তাকে ক্ষমা করে দিলে বিদেশে যেতে তার আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে সরকার ও ক্ষমাপ্রার্থীর মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানবিক সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় মানবিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন। -আমারসংবাদ
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান