এবারের বইমেলায় ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল), কালের চিঠি প্রকাশন, নালন্দা, খড়িমাটি, পুঁথিনিলয়, স্বদেশ, শৈলী, বলাকা, সর্বজন কথা, অম্বয়, অ্যাডর্ন পাবলিকেশনসহ চৌদ্দটি প্রকাশনা সংস্থা প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহন করবে। পুস্তক প্রদর্শনী ছাড়াও এবারের বইমেলায় থাকছে লোকজ অনুষ্ঠান, ছোটদের পরিবেশনা ও চিত্রাঙ্কন আসর, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, গান, গানের ছোঁয়ায় কবিতা, নৃত্য, মনিপুরি নৃত্য, বই পরিচিতি, নাটক, কর্মশালা ইত্যাদি।শনিবার প্রথম দিনের কর্মশালায় “বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতির সুদিন দুর্দিন”, “সাহিত্যের ভাষা”, “শিল্প সাহিত্য বিকাশে ডিসি বইমেলা”, “অনুবাদ ও ভাষা”, “বিজ্ঞানময় জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত”, “সবার জন্য সফট স্কিলস”, “ঢাকার জনসংখ্যার বোঝাকে সম্পদে পরিণত করা” ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রবিবার দ্বিতীয় দিনের কর্মশালায় “পটচিত্র পারফরমেন্স”, “আধুনিকতার আলোর ছায়ায় কি বিলুপ্ত হবে ছাপা বইয়ের ব্যবহার”, “মনিপুরি নাচ”, উত্তর আমেরিকার বাংলা পত্রিকা ও বেতারের ইতিকথা” ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোচনা, তথ্যচিত্র উপস্থাপনা এবং নাট্যকার মামুনুর রশিদের থিয়েটার কর্মশালা।
ডিসি বইমেলার আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ডিসি বইমেলার আহ্বায়ক দোস্তগীর জাহাঙ্গীর বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য আমেরিকান বাঙ্গালীদের সঙ্গে বাংলা বই ও সাহিত্যের যোগাযোগ বজায় রাখা এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বাংলা বই ও সাহিত্যের যোগসূত্র সৃষ্টি করা।”
এবারের বইমেলার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন,ওয়াশিংটন ডিসি’তে প্রায় প্রতি সপ্তাহে গান-বাজনার হরেক মোড়কে বিনোদনের কমতি নেই। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল সাহিত্য-সংস্কৃতি সেবার বড্ডো খরা চলছে। আর এ খরা মেটাতেই ছোটদের-বড়দের রঙিন মোড়কের বই নিয়ে বসবে এবারের বইমেলার আসর। বইমেলা হবে লেখক, প্রকাশক, সাহিত্যসেবী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলন মেলা। তারা হালকা জৌলুসের বিনোদন বা আড্ডার জন্য নয়, বরং বই নিয়ে আলোচনা শুনতে, নতুন বইয়ের মোড়কের মাদকীয় ঘ্রাণ নিতে আর গল্প-কবিতা ও সাহিত্য নিয়ে প্রকাশিত বইকে কেন্দ্র করে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশকে উদ্দীপ্ত করতে বইমেলায় আসার জন্য সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।