উত্থান-পতনে | পুলক বড়ুয়া
আমি কৃষ্ণের বাঁশি হব না
আমি অর্ফিয়ুসের বাঁশরী হব না
আমি কোনো হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারব না
আমি এক অদৃশ্য বাঁশিওয়ালা
এই শহরে আমি
এক বিমূর্ত বংশীবাদক
এই নগরে আমি
অমূর্ত বাঁশিওয়ালা
এক আগন্তুক বাঁশরীয়া
অই যে সরল বাঁশি, আড় বাঁশি
কখনও টিপরাই, সানাই
কিংবা ভিন
অথবা মোহন বাঁশি
—বহুলপরিচিত বাঁশীগুলো আমার প্রপিতামহ :
তাদের সঙ্গে আমার আকার-আকৃতিতে
অর্থাৎ দেখতে-শুনতে দোষে-গুণে
আমি অনেকটা বা কিছুটা জিনগত বৈশিষ্ট্যে :
কোনো মিল-অমিল থাকলে—
খুঁজে পেলেও পেতে পার তুমি,
আমি আমার পূর্বপুরুষের বংশধর ।
বাকিটা ভাবতে পার—
আমার আপন ঘরাণা, নিজস্ব নিবাস
আমাকে তোমার ঘরে মানে ঘরোয়া করে
তুলে নিতে পার তুমি আপন হাতে
হতে পার আমার ঘরণী, আত্মস্থ;
ভাসমান সুরের সাম্পান-নৌকোর দুলুনি :
রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্ধ-আউল-বাঁশির বাতাস
বাউল-ফুঁৎকার, আঙুলের বুঁদ-বুদ্বুদ
মুরলীর দোলায় দোলায় দোলনা;
উড়ুক তোমার সুরবাহারের মতো
লহরী তুলে আঁচলের হাওয়া
—যেন প্রবল-পাল উড়িয়ে তুমি
উত্তাল তরঙ্গভঙ্গে এক তরণী,
উত্তল-অবতল ঊর্মি !
গমকে গমকে উর্মিল-সুরেলা উত্থান-পতনে
বৈঠার ঘাই তুলে তাল-ঠেকা ঠুকে দেব আমিও ।