দেশের সংবাদ ফিচার্ড শিক্ষাঙ্গন

বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুলস নাও!

বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুলস নাও! সম্মেলনে বাংলাদেশের ২৮ জন প্রতিনিধি

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাবিদ ও সিদ্ধান্ত প্রণেতাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বারোপ

  • ‘এনরিচিং ইওর কারিকুলাম’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত স্কুলস নাও! ২০২৪ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ। সম্মেলনে নেতৃত্ব, সুস্থতা, সুরক্ষা ও ডিজিটাল শিক্ষায় প্রযুক্তির একীভূতকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও সংশ্লিষ্ট কেস স্টাডিজ উপস্থাপন।
  • পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে স্কুল কমিউনিটিতে বিশেষজ্ঞদের ক্ষমতায়নের ওপর আলোকপাত

[ঢাকা, ০৩ মার্চ, ২০২৪] দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুলস নাও! ২০২৪ সম্মেলন। ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অফলাইনে ও অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন ১ হাজারের বেশি নেতৃস্থানীয় বেক্তিবর্গ। আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্ষেত্রে সেরা অনুশীলন এবং এ সংশ্লিষ্ট সম্যক জ্ঞান (ইনসাইট) একে অন্যের সাথে আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখে এ সম্মেলন।  বাংলাদেশ থেকে ২৮ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল, অ্যাকাডেমিয়া, চেরি ব্লসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডিপিএস এসটিএস স্কুল, আর্থ হাউস অল্টারনেটিভ স্কুল, জুভেনাইল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, প্লেপেন, প্রিমিয়ার স্কুল ঢাকা, স্কলাস্টিকা, স্যার জন উইলসন স্কুল এবং সানিডেল বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ।

সম্মেলনে আন্তর্জাতিকীকরণ ও প্রেক্ষাপট-ভিত্তিক পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা, নেতৃত্ব, সুস্থতা ও সুরক্ষা প্রতিপাদ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে বক্তাদের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের পাশাপাশি কর্মশালা এবং প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উদ্ভাবনী শিক্ষাপদ্ধতি, আরও সমৃদ্ধ পাঠ্যক্রম গঠনের কৌশল এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সম্মেলনে নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব গ্লোবাল এক্সামস সার্ভিসেস মার্টিন লোডার বলেন, “স্কুলস নাও! সম্মেলনের উদ্দেশ্য শিক্ষাক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে বৈশ্বিক যোগাযোগ স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষায় ভাবনা ও অর্জিত জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং উদ্ভাবনের সুযোগ খুঁজে বের করা। উদীয়মান বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য শিক্ষাবিদদের ক্ষমতায়ন, যেনো পরিবর্তনশীল শিক্ষাক্ষেত্রে জটিলতা মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক ফল নিশ্চিত করা যায়।”

বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রেইম্যান বলেন, “ইউকে অ্যাওয়ার্ডিং বডিজের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ১৭৫ -এর বেশি সহযোগী স্কুলের জন্য ইউকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কোয়ালিফিকেশনস নিশ্চিতে সহায়তা করে ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলস প্রোগ্রাম। আমাদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সহায়তা স্কুলগুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাগ্রহণ অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এবং শিক্ষাকে আরও ফলপ্রসূ করতে ভূমিকা রাখে।”

স্কলাস্টিকার হেড অব অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স সাবিনা মুস্তাফা বলেন, “প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে শিক্ষাখাত ধারাবাহিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল রিসোর্স জ্ঞান অর্জনের সুযোগ ও প্রাপ্যতাকে নতুন করে সঙ্গায়িত করেছে। এ পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং শিক্ষায় সমতা (ইক্যুইটি) নিশ্চিত করতে অংশীজনদের মাঝে অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। এ সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতার আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের মতো শিক্ষাবিদদের জন্য ‘দ্য স্কুলস নাও!’ সম্মেলনটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম।”

সম্মেলনে স্বাগত মূলবক্তব্য প্রদান করেন কারিকুলাম ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ভিক্টোরিয়া পেন্ড্রি। বক্তব্যে তিনি স্কুলের ক্ষমতায়নে পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের ওপর গুরত্বারোপ করেন। বক্তব্যে মানসম্মত ও ন্যায্য শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে ডিজিটাল শিক্ষা, নেতৃত্ব, সুস্থতা ও সুরক্ষার মধ্যে আন্ত:সম্পর্কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি।

সম্মেলনে অন্যান্য বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ঘানার আল রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হেড অব ওয়েলবিয়িং ডিভিশন ও চাইল্ড প্রোটেকশন লিড ড. ফাঙ্ক বাফোর-আউয়াহ; ব্রিটিশ কাউন্সিল এডুকেশন কনসালটেন্ট ক্যাথলিন ও’হেয়ার; ডেপুটি হেড প্যামেলা ও’ব্রায়েন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কুল মাদ্রিদের ডেপুটি হেড অ্যাকাডেমিক জো পার্কেস।

ভার্চুয়াল ডেলিগেটদের জন্য ‘ডিজিটাল লার্নিং’র ওপর একটি সেশন পরিচালনা করেছেন হেরিটেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মোলদোভার ডেপুটি অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর ও আইএসসি ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনফ্লুয়েন্সার ২০২৩ তাতিয়ানা পোপা। সেখানে, স্কুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার এবং শিক্ষামূলক উপকরণ, শিক্ষণ অনুশীলন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

কেপ টাউনের স্টেলেনবোশ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার কুদজাই তারিসাই; মিশরের নারমাইন ইসমাইল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মিডল অ্যান্ড হাই স্কুল এডুকেশন ডিরেক্টর রেহাম আলী এবং জো পার্কেসের অংশগ্রহণে ‘এআই ইন এডুকেশন’ -এর ওপর একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এআই ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা নিশ্চিত করতে স্কুলগুলো যা করণীয় তা নিয়ে মূল্যবান কিছু পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করেন তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভিঙ্গি চিহ্নিত করে প্রায় ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরা এআই-এর পক্ষে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের মূল বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন দ্য স্কুলস নাও! এর ওয়েবসাইট:

https://www.britishcouncil.org/exam/partner-schools/schools-now-conference

The British Council’s Schools Now! 2024 conference equips educators and decision-makers with the strategies necessary to enhance the educational experience for students worldwide.

28 delegates from Bangladesh attended the conference

  • Themed around ‘Enriching your curriculum’, the Schools Now! 2024 conference brought education experts from around the world to present innovations and case studies in leadership, well-being and safeguarding approaches and the integration of technology in digital learning
  • The conference focused on empowering subject experts within the school community to drive curriculum development and delivery

[Dhaka, 03 March 2024] British Council’s Schools Now! 2024 was held over three days in Cape Town, South Africa from 27-29 February 2024. The conference was attended by over 1000 school leaders both onsite and virtually, and served as a platform for fostering collaboration, sharing best practices and insights in international education. From Bangladesh, 28 delegates attended the conference including representatives from the British Council, Academia, Cherry Blossoms International School & College, DPS STS School, Earth House Alternative School, Juvenile English Medium School, Manarat Dhaka International School and College, Maple Leaf International School, Mastermind English Medium School, Oxford International School, PLAYPEN, Premier School Dhaka, Scholastica, Sir John Wilson School, and Sunnydale Bangladesh.

The themes included digital learning, leadership, well-being, and safeguarding, adding to a rich internationalised and contextualised curriculum. Through a series of engaging keynote sessions, immersive workshops, and panel discussions, delegates explored innovative teaching approaches, curriculum enrichment strategies, and the integration of technology in education.

Martin Lowder, Head of Global Exams Services, The British Council, shared, ‘The spirit of Schools Now! is to establish global connections within the educational community, exploring insights and innovations in international education. By addressing emerging themes, we aim to empower educators to navigate the complexities of the shifting education landscape and drive positive outcomes for students.’

Maxim Raiman, Exams Director at the British Council in Bangladesh, n, said: ‘The British Council Partner Schools programme supports over 175 Partner Schools in Bangladesh to deliver UKnternational School Qualifications on behalf of UK awarding bodies. Our educational support enables schools to enhance the learning experience for students, improving educational outcomes.’

Sabina Mustafa, Head of Academic Affairs from Scholastica said, ‘The education sector is undergoing continuous transformation due to technological advances. Online platforms and digital resources are redefining our access to knowledge. Collaboration between stakeholders is essential to address these rapid changes and ensure equity in access to education. The Schools Now! conference is an ideal platform to share this knowledge and expertise to support educators like us to implement innovation in schools.’

The opening keynote session by Victoria Pendry, CEO of the Curriculum Foundation, aimed at empowering schools to develop, monitor and evaluate an enriched curriculum. Her presentation explored the interconnected nature of digital learning, leadership, well-being and safeguarding as a foundation for quality and equitable education.

Other distinguished speakers included, Dr Funke Baffour-Awuah, Head of Well-being Division and Child Protection Lead, Al Rayan International School, Ghana, Kathleen O’Hare, British Council Education Consultant, Pamela O`Brien, Deputy Head and Jo Parkes, Deputy Head Academic from British Council School in Madrid.

Tatiana Popa, Deputy Academic Director, Heritage International School, Moldova, an ISC International Education Influencer of 2023, delivered a session for virtual delegates, on ‘Digital learning’, focussing on the use of AI in schools and how this will impact all areas of work, educational tools, teaching practice and much more.

An expert panel on ‘AI in Education’ comprising of Kudzayi Tarisayi, Senior Lecturer, Stellenbosch University, Cape Town, Reham Ali, Director of Middle and High School Education, Nermine Ismail International Schools, Egypt and Jo Parkes discussed valuable tips into how schools can ensure students are prepared for future needs dictated through the use of AI. It was eye-opening to see nearly 90% of conference delegates voice AI as a friend, not foe, signalling widespread optimism towards AI’s potential benefits.

 

 

এসএস/সিএ

সংবাদটি শেয়ার করুন