জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের “শান্তির সংস্কৃতি” রেজুল্যুশন গৃহীত
UN unanimously adopts Bangladesh’s Resolution on Culture of Peace
New York, 02 May 2024: The United Nations General Assembly unanimously adopted Bangladesh’s flagship annual resolution on the ‘Culture of Peace’ with an overwhelming number of co-sponsorships. Permanent Representative of Bangladesh to the UN in New York Ambassador Muhammad Abdul Muhith introduced the Resolution at the General Assembly Hall.
Today’s adoption marks the 25th anniversary for the Declaration and Programme of Action on a Culture of Peace. In 1999, during the first tenure of Prime Minister Sheikh Hasina, the delegation of Bangladesh led the intergovernmental negotiations for adoption of the Declaration and Programme of Action which identified eight areas of action to promote culture of peace and non-violence.
While introducing the Resolution, Ambassador Muhith highlighted the continued relevance of culture of peace, as the world faces spiraling conflicts and dereliction of human dignity. “To reverse the trend, we must rekindle the brighter and harmonious faculties of the human minds, foster respect for equality and equal value of all human beings; and most importantly we must make peace more profitable than war,” he said.
To observe and celebrate the 25th anniversary in a befitting manner the President of the General Assembly has been requested to convene a day-long High-level Forum. Through this resolution, the General Assembly also invited the Member States, United Nations entities, international and regional organizations and other relevant stakeholders, including civil society, the private sector, academia and the media to observe the 25th anniversary, in an appropriate manner, including through educational and public awareness-raising activities.
Referring to Bangladesh’s own experience of war and devastation, Ambassador Muhith said that, the initiative of Bangladesh to introduce the notion of culture of peace in the UN was inspired by the country’s own experience. “Having born out of a devastating war that was rooted in discrimination, racial intolerance and subjugation, we made promotion of peace a fundamental principle of our foreign policy,” he added.
The consideration of the resolution was preceded by a general debate on the culture of peace. A large number of member states and groups of countries delivered statements in which they expressed their commitment to advancing the implementation of the Declaration and Programme of Action on a culture of Peace. The delegations particularly acknowledged the historic leadership of Bangladesh on this agenda.
This year’s Resolution has been cosponsored by 112 countries, showcasing a broad-based endorsement from a diverse representation of UN Member States.
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের “শান্তির সংস্কৃতি” রেজুল্যুশন গৃহীত
নিউইয়র্ক, ০২ মে ২০২৪: আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত “শান্তির সংস্কৃতি’’ শীর্ষক রেজুল্যুশন-টি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজুল্যুশটিতে কো-স্পন্সর করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুল্যুশনটি উত্থাপন করেন।
এ বছর আলোচ্য রেজুল্যুশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি (Declaration and Programme of Action on a Culture of Peace) ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য ৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সকলকে আহবান জানিয়েছে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সকল মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বপোরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
এবারের রেজুল্যুশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি-র ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্যাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজুল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারী খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথ ভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত’। তিনি আরো বলেন, “বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি’।
রেজুল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারন পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে । এ সময় তাঁরা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি’-র ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
১১২টি দেশ এবছর বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুল্যুশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থণের সাক্ষ্য বহণ করে।
এসএস/সিএ