ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

Talk show  ।।।  সুশীল কুমার পোদ্দার

Talk show  ।।।  সুশীল কুমার পোদ্দার

সাংবাদিক: মা তোমার হাতে একটু সময় হবে?

দুর্গা মা: কেন রে?

সাংবাদিক: আমি তোমার একটা ইন্টার্ভিউ নিতে চাই

দুর্গা মা: মনে কিছু নিস না বাবা, আমি  কোন  সাংবাদিককে  ইন্টার্ভিউ দেই না।  তোরা বানিয়ে বানিয়ে বড্ড বেশী  তিলকে তাল করিস

সাংবাদিক: মা, খুব বেশী সময় নেব না, শুধু পাঁচ মিনিট, প্লিজ মা, না কোর না

দুর্গা মা: আচ্ছা বল। বল ।।

সাংবাদিক: মা , শুনলাম তুমি নাকি এবার দোলায় চড়ে এসেছ , আর সাথে নিয়ে এসেছ ঝড়, বৃষ্টি, মহামারী,খরা আর  প্লাবনের মতো অশুভ শক্তিকে?  মা, এ পৃথিবীর  দশ শতাংশ মানুষ চরম খাদ্য সঙ্কটে  দিন কাটাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি গ্রাস করে চলছে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা, এতো বড় এক মহামারী থেকে আমরা যারা বেঁচে ফিরলুম, তাদের প্রতি তোমার কেন এতো নিষ্ঠুরতা?

দুর্গা মাঃ   তা, এর জন্য আমায় দোষী করবি? এর জন্য কে দায়ী জানিস?

সাংবাদিক: কে মা?

দুর্গা মা: যদি বলি তোরা… জানিস, তোদের নিষ্ঠুরতায় সমস্ত প্রকৃতি আজ বিপর্যস্ত। বনভূমি তোদের নিষ্ঠুরতার বলি হয়ে আমায় বলেছে আমি যেন ওদের রক্ষা করি, বাস্তু চ্যুত পশু পাখীরা বলেছে আমি যেন ওদের আশ্রয় দেই, তোদের গড়া সভ্যতার বিষাক্ত নিঃশ্বাসে উত্তপ্ত হয়েছে বায়ু মণ্ডল, তপ্ত সাগরে ফুঁসে উঠছে আগ্রাসী ঊর্মিমালা। বাবা, তোরা এক বীভৎস সময়ের দিকে এগিয়ে চলেছিস? তোদের ধ্বংস অনিবার্য

সাংবাদিক: মা, আমরা তো তোমারই সন্তান। তুমি একটা কিছু কোর । আচ্ছা মা, বাবা মহাদেবকে যদি আমরা আমাদের মর্তলোকে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে কেমন হয়?

দুর্গা মা: আর আমি কোথায় থাকবো?

সাংবাদিক:  তুমি না হয় আসা যাবার মাঝে থাকলে।

দুর্গা মা: তোদের কুট বুদ্ধির কথা সবাই জানে। তাছাড়া তোদের বাবা কানাডা আসতে চান না? উনার তো খালি গায়ে থাকার অভ্যাস। এই বয়সে স্যুট, প্যান্ট, টাই পরা! উনার দ্বারা হবে না।  তা ছাড়া…

সাংবাদিক:   তা ছাড়া কি মা, বেশ বুঝতে পেরেছি। তুমি বাবার গঞ্জিকা সেবনের কথা বলছ তো? কোন চিন্তা নাই। কানাডার অলিতে গলিতে এখন ঐ দ্রব্য পাওয়া যায়

দুর্গা মা: দেখ, তোরা মন্দ জিনিসটাই সহজে গ্রহণ করিস? তোদের বাবা একবারই  গাজার এক বিশেষ মিশ্রণ খেয়েছিলেন, সমুদ্র মন্থনে হলাহল পান করে  বিষক্রিয়া কমানোর জন্য।  তোরা তোদের ইচ্ছামতো গল্প বানিয়েছিস। তোর বাবা, এ সংসারে পরম আরাধ্য।

সাংবাদিক: ক্ষমা কোর মা, কাকে বিশ্বাস করব বল, সিনেমাতে জয় জয় শিবশঙ্কর গানটা শুনে শুনে আমরা ভেবেছি  বাবা, মনে হয় ভাং, গাঁজা পছন্দ করেন। তাই তো প্রসাদ মনে করে আমরাও  খেয়ে চলেছি । থাক মা সে কথা। লক্ষ্মী দিদিকে যে দেখতে পাচ্ছি না? একটু ডেকে দেবে? দুটো কথা বলেই চলে যাবো

দুর্গা মা: ও মনে হয় ঘুমোচ্ছে। জেট লাগ এখনো মনে হয় কাটেনি। থাম দেখি। লক্ষ্মী, লক্ষ্মী মা, একটু আয় তো, তোর সাথে একজন  বলতে চায়।

লক্ষ্মী:  তা, কে গো? কে গো  তুমি?  কি প্রয়োজন তোমার? 

সাংবাদিক: প্রণাম মা, আমার মনে বহু কালের জমানো প্রশ্ন। ভেবেছি, যদি তোমায় পাই, তবে জিজ্ঞেস করবো?

লক্ষ্মী:   বল,  কি সেই প্রশ্ন?

সাংবাদিক: মা, তুমি বিত্তবানকে আরও বিত্তবান আর গরীবকে  আরও গরীব বানাচ্ছ। কেন মা তোমার এমন বিচার?

লক্ষ্মী:   দেখ, তোরাই তো বলিস money begets money। ওরা বুদ্ধি করে  Share market, IT sector, Mine sector এ invest করে। ওদের টাকাতো হবেই ।

সাংবাদিক: মা, তাহলে সে বুদ্ধি টুকুই দাও।আমরা কিছু করে খাই

লক্ষ্মী: দেখ, ওটা আমার ডিপার্টমেন্ট নয়। তোদের সরস্বতী মাকে জিজ্ঞেস করিস  

সাংবাদিক: তাই হবে মা। কিন্তু বিত্তবানেরা তো শুধু সৎ উপায়েই টাকা উপার্জন করে না। ওরা তো গরীবের সম্পদও কেড়ে নেয়। মা, তুমি আমাদের সম্পদ রক্ষা কর

লক্ষ্মী:  আমি আর কি রক্ষা করব বল। আগে তো সমাজের অপরাধীরা রাতে চুরি করতো। তাইতো আমার বাহন পেঁচা সারারাত জেগে পাহারা দিত। কিন্তু এখন যে অপরাধীরা দিন দুপুরে চুরি করে। তাই আমার পেঁচাটা কাজ হারিয়ে রাতদিন ঝিম মেরে বসে থাকে। তাছাড়া জানিস আগের দিনে ঘড়া ঘড়া স্বর্ণ মুদ্রা দেখলেও মনটা ভালো হয়ে যেত। আর এখন শুধু প্লাস্টিক, আর ক্রিপ্টো কারেন্সি।

 কার্ত্তিক – লক্ষ্মী,  এতক্ষণ কার সাতে কথা বলছিস? ও মা, ও তো দেখি মানুষ !

সাংবাদিক: প্রণাম  দেব সেনাপতি, গৌরীসুত, শক্তিপানি কার্তিকে। আমি ধন্য, ধন্য হলাম তোমায় দেখে। হে কার্ত্তিক, কতো সুন্দর তোমার শ্রীবদন, কি দুধে আলতা তোমার গায়ের রঙ

কার্ত্তিক – আগে আরও গায়ের রঙ ফরসা ছিল রে!  সান স্ক্রিন দেই না তো, তাই একটু ম্যাদা হয়ে গেছে। যাক, খুশী হলাম।

সাংবাদিক:  আচ্ছা, তুমি থাকতে কেন ইউক্রেন-রাশিয়া ,ইসরাইল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ ?  তুমি কি পার না এ যুদ্ধ থামাতে?

কার্তিক – আমি তো কবেই  সেনাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছি। ঐ তারকাসুর নিধন করার পর আমার আর তেমন কাজ ছিল না। তাছাড়া এখন যুদ্ধ করে  মনে তৃপ্তি আসে না রে। যুদ্ধ ছিল আগের দিনের । অ্যাঁ, তরবারির কি ঝনঝনানি, খ্যাচ করে গলা কাঁটা, ফিনকি দিয়ে রক্ত, কি মনোমুগ্ধকর  দৃশ্য। আর এখন যুদ্ধ হয় শুধু বাটন চিপে। আর ঐ বাটন তো আমাদের যদু মধু সবাই চাপতে পারে। কোথায় সে বীরত্ব ?

সাংবাদিক:   তা ঠিকই বলেছ। আজ যদি আলেকজান্ডার, চেঙ্গিস খাঁ, বেচে থাকতো – ওদের বীর হবার ইচ্ছা কবে মিলিয়ে যেত। খুব ভাল করেছ সেনাপতি পদটা ছেড়ে দিয়ে। তা এখন তুমি কি করছ?

দুর্গা মা – তোরা বোধ হয় জানিস না, আমার কার্তিক কিন্তু এখন কৈলাসউডের মারদাঙ্গা হিরো। তোদের কার্তিকদার এখন অনেক ফ্যান

সাংবাদিক: তাই নাকি। তা কটা সিনেমা মুক্তি পেল?

লক্ষ্মী:  super flop !!  শুধু চেহারা ভাল হলেই কি হয়, অভিনয় জানতে হয় ! মাথায় কিছু থাকতে হয়!

কার্তিক – লক্ষ্মী ভাল হচ্ছে না কিন্তু। মানুষের সামনে আমায় এমন করে ছোট করবি না

দুর্গা মা: তোরা দুজন থামবি !  না গণেশকে ডাকব? গণেশ, বাবা গণেশ

কার্তিক: মা, এ অন্যায়, লক্ষ্মীর এমন ধারা খোঁটা মোটেই ভাল লাগেনা। আমার প্রতিভা নাই, তার জন্য কি আমি দায়ী ! নিজের বোন সরস্বতী, সারা দুনিয়াকে জ্ঞান বিলিয়ে বেড়াচ্ছে,  অথচ আমায় ঘরে বাইরে খোঁটা শুনতে হয় ! ঐ তো,  ঐ তো এসে গেছে মায়ের নাওটা ছেলে

গণেশ – এইতো আমি এসে গেছি। মা আজ্ঞা দাও ! তুমি ডাকবে আর আমি আসব না? তোমরাই তো আমাদের সংসার ! বল কি হয়েছে? বল মা …

দুর্গা মা: এই দেখ ওরা আবারও ঝগড়া করছে

গণেশ – দেখ কার্তিক দাদা, ক্রোধ হল মহা শত্রু, অজ্ঞানতা থেকেই এই ক্রোধের সৃষ্টি। কানটা আমার মতো বড় কর। কান পেতে  ধৈর্য সহকারে সবার কথা শুন, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কথাকে বাতিল করে দাও। দাদা, ইদানীং ছবিতে অভিনয় করে তোমার মাঝে মনে হয় একটু অহম জন্ম নিয়েছে। আমার বসার ভঙ্গি দেখেও কি তোমার শিক্ষা হয় না?  আমি বার বার শেখানোর চেষ্টা করি – উড়ার ইচ্ছে হোক আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু পা থাকুক মাটিতে ।

কার্তিকঃ এই যে আবারও জ্ঞান দিতে এসেছে। নিজের শরীরটার দিকে তাকাও। এখনও তোমার পূজায় মোদক না দিলে তুমি অসন্তুষ্ট হও। তোমাকে দেখেই তো এই ভারত বর্ষে  ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিকের শিকার ।

গনেশঃ দাদা, আমি কি মর্তের মানুষকে ‘মোদক’ খেতে বলেছি? আমি বলেছি – শুধু আমায় নিবেদন করতে। দাদা, ‘মোদক’ হলো আনন্দের প্রতীক।  তুমি খাওনি  তাই জানো না । একবার খেলে বলতে – গুল্লি মার ডায়াবেটিককে,  What a taste!  what a pleasure! দাদা, তোমার মনে আছ – মা বলেছিল যে কম সময়ে  বিশ্বব্রমান্ড ঘুরে আসতে পারবে তাকে উপহার দেবে ‘মোদক’। তোমার মাথা মোটা তাই কষ্ট করে ময়ূরের পিঠে বেড় হয়ে পড়েছিলে বিশ্বব্রমান্ড ঘুরতে। আর আমি…

কার্তিকঃ তুই তো short cut মেরেছিস ! মা সেদিন পক্ষপাতিত্ব করে তোকে জিতিয়ে দিয়েছে। মা জানতো, এমন শরীর নিয়ে ইঁদুরের পিঠে চড়ে বিশ্বব্রমান্ড ঘুরে আসা তোর পক্ষে সহজ নয়!

দুর্গা মা: অ্যাঁ কার্তিক, কি হচ্ছে? দিলি তো ওর মনটা খারাপ করে? চুপ চুপ! তোরা সব চুপ! বাহির থেকে একজন লোক রয়েছে আমাদের মাঝে !

সাংবাদিক: মা, আমায় পর ভেব না, আমিতো তোমারি সন্তান ! যাক মা,  একটু সরস্বতী মাকে ডেকে  দেওনা?

দুর্গা মা: সরস্বতী,  কোথায় গেলি ? একটু এদিকে আয়

সাংবাদিক: প্রণাম মা, একি মা, তোমার হাতের বীণা কৈ? এ যে দেখি হাওয়াইয়ান গীটার

সরস্বতী: দেখ পরিবর্তনই জীবনের ধর্ম। যুগ বদলে গেছে। এখন আর কেউ বীণা শুনতে চায় না। তাইতো হাওয়াইয়ান গীটার শিখছি।

সাংবাদিক: মা, সামনে দিন আসছে, কিচ্ছু আর শিখতে হবে না। তোমার কাছে কেউ প্রার্থনা করবে না, মা আমায় বিদ্যা দাও, জ্ঞান দাও। মানুষের মাথায় একটা চিপ বসিয়ে দিলেই হলো…

সরস্বতী: তুই মনে হয় AI এর কথা বলছিস? দেখ বাবা, AI  মানেই তো কৃত্রিম!  আর এই কৃত্রিমতা নিয়ে আমার কোন দুশ্চিন্তা নেই। তবে জানিস তোদের জন্য আমার বড় ভয় হচ্ছে। আচ্ছা বল, যদি মানুষ জ্ঞানার্জনের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে,  আপন সৃষ্টির মাঝে যে আনন্দ সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় – তাহলে কি নিয়ে বেঁচে থাকবে? একদিন সময় আসবে পুরো মনুষ্যজাতি হতাশা আর বিষণ্ণতায় আত্ম হননের পথ বেছে নেবে। সে দিন খুব বেশী দূরে নয়।

সাংবাদিক: মা, তুমি এ কি শুনালে? ভেবেছিলেম পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকবো। পরীক্ষা নাই, পড়ালেখা নাই। রোবটগুলি সব কাজ করে দেবে। বীজ বুনবে, ফসল তুলবে, রান্না করবে আর আমরা শুধু ঘুরে বেড়াব, সিনেমা দেখব। কিন্তু তুমি যা বললে শুনে তো আমার বুক কাঁপছে

সরস্বতী – হ্যাঁ, বাবা,  সভ্যতার শেষ পরিণতি হলো ধ্বংস, আর এই ধ্বংস আসবে AI কে abouse করা  অসুরদের মাধ্যমে

সাংবাদিক: না, মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল।

মা, সরস্বতী অসুরের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। মা তোমরা সবাই আছ, শুধু ও নেই। ওকে ছাড়া কেমন যেন ফাকা ফাঁকা লাগছে।  সাদার পাঁশে যেমন কালো, ভালোর পাঁশে তেমন মন্দকে না দেখতে পেলে দেখা যে অপূর্ণ থেকে  যায়। মা ওকে একটু আবাহন কর না?

দুর্গাঃ নারে, ও আর মারামারি ফাটাফাটি করে না। একসময় ও ভাবতো ওর চেয়ে বড় কোন অসুর নেই। একবার আমার সাথে তোদের মর্তলোকে এসে ওর ভুল ভেঙ্গে গেছে। তাই ও আর আসতে চায় না। তবুও যখন বলছিস। দেখি ফোন করে ,হ্যালো মহিষ

মহিষাসুরঃ কে, কেন ফোন কচ্ছিস মা !!

দুর্গাঃ মর্তের মানুষ তোর সাথে কথা বলতে চায়

মহিষাসুরঃ আমার সাথে আর কি কথা? দেখ, তোদের পূজামন্ডবে সারাক্ষণ হাঁটু গেড়ে হা করে পড়ে থাকাতে আমার মোটেই ভাল লাগে না। তাছাড়া বিসর্জনের আগে তোরা যে জোর করে আমার মুখে সন্দেশ গুঁজে দিস, I hate this, I really don’t like ।  আসলে তোরা আমায় যেভাবে সাজিয়ে রাখিস, আমি কিন্তু মোটেই তেমন নই। It’s a irony. দেখ,  যে বিজয়ী সেই তো ইতিহাস রচনা করে, আর  বিজিতকে তারা দেখায় নৃশংস হিসেবে। অথচ, আমি ছিলাম এক শান্তি প্রিয় অনার্য রাজা। আজও আমায় কর্ণাটকের মানুষ পূজা করে। আমার মৃত্যু হয়েছে আর্য  দেবীর হাতে। তোরা যাদের রাক্ষস, অসুর, দৈত্য, কিন্নর, বানর হিসেবে জানিস – তারা সবাই মানুষ, শুধু তফাৎ হল তারা সব অনার্য। এ সবই রাজনীতি, সহস্র বছরের বর্ণবাদী রাজনীতি।  ইতিহাসের পেছনে ইতিহাস খুঁজে দেখলেই তোরা সব বুঝতে পারবি।

সাংবাদিক:  মা, অসুর বাবা যা বলছে, তা কি সত্যি?

দুর্গাঃ দেখ, পাঁচ মিনিটের কথা বলে আমার দশ মিনিট নষ্ট করলি, এই হল তোদের বড় সমস্যা।  তোরা সময়ের মূল্য বুঝিস না

সাংবাদিক:  দুঃখিত মা। তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তা, মা এসোনা,  একটা শেল্ফি তুলি।

দুর্গাঃ  – তথাস্তু


সংবাদটি শেয়ার করুন