বাড়ি ফেরার তাড়া ।।।। রীতা আক্তার
বাড়ি কি ফেরা হলো
নাকি ভীষন ব্যস্ততায় রয়ে গেছো টেবিলে মুখ গুঁজে?
বাড়ি ফেরার তাড়া করো
নয়তো পুবের দীবাকর উঁকি দিবে পশ্চিমের জানালায়।
একটু হেঁটে, অথবা বাসে ট্রামে চেপে হলেও বাড়ি ফেরার তাড়া করো।
কেউ দরজা খুলে দিতে অপেক্ষায় তোমার।
বাড়ি ফিরবার পথে কিনে নিও দু’ টাকার বাতাসা বা চিনেবাদাম
অথবা নিও বেল ফুলের মালা।
নিতে পারো রেশমী কাঁচের চুড়ি।
জলদি করে ব্যস্ততাকে এক পাশে রেখে তুমি বাড়ি ফেরার পথ ধরো।
কেউ খাবার নিয়ে অপেক্ষায় তোমার….।
আচ্ছা এই যে এত ব্যস্তার মাঝে ঐ মুখটা কি মনে আওড়াও তুমি?
নাকি…..
থাক সে কথা, চুপ করে রই।
বুঝে গেছি,
এত ব্যস্ততায় রান্নাঘরের কোণে পড়ে থেকে আগুনের তাপ সহ্য করে যে রোজ তোমার যত্ন নেয়ার কথা ভেবে যায় তার মুখটি হয়তো মনে পড়ে না তোমার।
তবুও এক ফাঁকে তার একটু খোঁজ তো নিতে পারো।
একটু জলদি করে বাড়ি ফেরার তাড়া করো।
কেউ একজন বেলকুনিতে চা সাঝিয়ে প্রতিক্ষায় তোমার।
তুমি বাড়ি ফিরলে যার আ্ঁচলে ঘাম মোছ,
কখনো কি আদর করে তার নাকের পরে জমে থাকা ঘাম মুছিয়ে দিয়েছিলে তুমি?
কখনো জিগ্গেস করেছিলে কৌতুহলে –
চোখের নিচে এত দাগ জমেছে কেনো?
আজ না হয়, তার জন্য একটু জদলি করে বাড়ি ফেরার তাড়া করো।
হেঁটে অথবা বাসে ট্রামে,
রিকশা করে হলেও বাড়ি ফেরার তাড়া করো।
শাড়ি পরে হালকা সাজে কেউ একজন অপেক্ষায় তোমার।
টিপটা যদি ভুলে যায় পরতে,
যত্ন করে পরিয়ে দিও।
তবুও,
তবুও আজ বাড়ি ফেরার তাড়া করো….
দরজা খুলে দিতে কেউ একজন অপেক্ষায় তোমার……
রীতা আক্তার, ঢাকা, বাংলাদেশ
৫/১১/২০২৪