শিমুলের রক্ত দান ||||| শীতল চট্টোপাধ্যায়
অসুস্থ জীবন সুস্থ হতে
রক্তের প্রয়োজন,
এক্কেবারে টাটকা রক্ত।
দেহের ভেতর কাব্যরসের রক্তাল্পতায়
ভাঙা শরীর,, ঝিমোনো মন,
দূরে সরে যায় ভাবনার পথ
মনের হাঁটা কমে আসে যত।
খোঁজ মেলেনা শব্দ পালকের
ঝরে পড়া তখন।
সব অনুভূতি অস্তিত্বের সক্রিয়তা
ক্রমশ হয়ে আসে নিষ্ক্রিয়।
সুস্থতার জন্য রক্ত চাই,
চাই শিমুল গ্ৰুপের প্রাকৃতিক রক্ত।
শিমুল তার রক্ত দান করেছে,
অসুস্থ জীবনে সঞ্চারিত হয়েছে
সুস্থতার শিমুল রক্ত।
অকেজো হয়ে আসা হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপনের জন্য
হৃৎপিন্ড দান করেছে
কৃষ্ণচূড়া তার।
প্রতিস্থাপন হৃৎপিন্ডে
আবার হৃদস্পন্দনের শব্দ শুনতে পাচ্ছে
নব জীবনে ফেরার জীবন।
রক্ত দেওয়ার শিমুল,
হৃৎপিন্ড দেওয়ার কৃষ্ণচূড়ার জীবনদায়ীতে
একাত্ম হয়ে
সে জীবন এখন
বসন্তময়।
যেখানে লেখা আছে
বসন্ত এলে
কাছে চলে আসে কোকিল।
বসন্তগান বাজিয়ে দেয়
বুকের একতারায়।
কোকিল ধরা যায়না,
একতারা দেখা যায়না, তবুও
বসন্তের সুরে-সুর হয়ে যায়
জীবন।
জীবন সূচির পৃষ্ঠা জোড়ায় হাঁটতে-হাঁটতে
পাশ দিয়ে উড়ে যায় কোকিল,
ডানার হাওয়ায়
পিছনে উল্টে গেল জীবন পৃষ্ঠা,
যেখানে লেখা আছে
তু্ই,আমি আর বসন্ত।
জগদ্দল,উত্তর২৪পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ ,ভারতবর্ষ