হলুদ ভাবনা ।।।। শীতল চট্টোপাধ্যায়
আকাশ পেরিয়ে যায় আকাঙ্খা। তবুও-
তোমার জন্য ‘এই’….বলে একটি সলজ্জ শব্দ
পৌঁছুতে পারেনি।
একলা হাঁটা, একান্ত আপন ঘাসগুলোকেই
বলতে না পারার ইচ্ছে কথাটা
বলে ফেলা।
দেখতে পেয়ে একটা রাধাচূড়ার পাশে গিয়ে
দাঁড়াই।
এখন তার হলুদ সময়।
না চাইতেও আমাকে ছুঁয়ে নিলো
দু-একটি ফুল খ’সে।
সযত্নে হাতে তুলেই জানতে চাই
এমনি করেই ,ঠিক এমনি করেই কী
ছোঁয়া যায়না?
উত্তর না পাওয়াটাই
ঘুম আসতে দেয়না চোখে,ঘুমিয়ে পড়লেও
বার-বার ভাঙিয়ে দেয় ঘুম।
চোখ থেকে ফুরাতে চায়না রাত যেনযেন,
ইচ্ছে দিয়ে সরে যাওয়ার ধাক্কা দিই ,
তবু রাত সরে কই?
ঘুম নেইয়ের বন্ধ-খোলা চোখে
এক সময় রাধাচূড়া রঙের সকাল দেখি
জানলা দিয়ে,
এই হলুদে, হলুদ হওয়ার তোমাকে ভাবি,
ভাবি-আমার এই হলুদ ভাবনায়
তোমার এই থেকে যাওয়াও।জীবন শ্যাওলাএকদিন জীবন ছিল
মানুষের জীবনে।
রোদ্দুর হতো জীবন ,
রোদ্দুরের পাশে ছায়ায়
ছায়া মাখত জীবন।
ছায়ার আড়ালে কোথাও
দাঁড়িয়ে ছিল তীক্ষ্ণ দাঁত ,
যে দাঁতে অকারণে
রক্তাক্ত হওয়া শুরু হলো জীবন।
মানে-অর্থ বোঝার অর্থ পুস্তক
মেলেনা কোথাও।
সময়ের স্রোতে শ্যাওলা হয়ে
ভেসে চলে জীবন।
যতই যায় জীবন শ্যাওলার সাথে
জীবন শ্যাওলা জুড়ে যায় আরও।
ঠিকানা – জগদ্দল, উত্তর২৪পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ