খাপখোলা |||| পুলক বড়ুয়া
আমি যদি দুঃখগুলি ছুঁড়ে ফেলি
আকাশ কুড়িয়ে রাখে
বাতাস ভোলায়
শূন্যতায় ওরা মেঘ হয়ে যায়
তুমিই আমার মেঘের আততায়ী
গুপ্তঘাতকের কারুকাজ-নীলনকশা-গোপন গোলাগুলি
আচানক আকাশের বুক থেকে কেড়ে নিলে
ধ্বসিয়ে দিলে মেঘকালো নীল পাহাড়
বাতাসের বুকে গুলির মতোন
একনাগাড়ে খেলে গেলে রক্তহোলি
অবিরাম বর্ষণ করলে শব্দগোলা
অবিরত বৃষ্টির মতোন
আমার পায়ের কাছে, হঠাৎ সর্বাঙ্গে, আপাদমস্তক
এক পশলা বৃষ্টিতে সিক্ত হতে পারি—মন্দ না
অপ্রস্তুত হয়ে যেকোনো সময়েই ভিজে যেতে পারি
ভেজাতে পার—অবারিত দ্বার
তুমি অঘটনঘটনপটিয়সী—সবিস্তার বানভাসি
তোমার মেঘের মতো ঢাউস শরীর
স্বীকার করি, তোমার
পারঙ্গমতা
সক্ষমতা
অধিকার
স্বাধীনতা
মুক্তি
তুমি চাইলেই সমস্ত উদযাপন করতে পার
ইচ্ছে হলেই যেকোনো দিক—
নিদেনপক্ষে লং ড্রাইভে নিয়ে যেতে পার
অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে, যা যা করতে পার, আর কি
রেস্তোরাঁ থেকে মহাসড়ক
সমুদ্র সৈকত থেকে বনভূমি
আদিগন্ত বিস্তৃত চরাচর, জনশূন্যতা
অসীম দিগন্ত, অনন্ত
বেহেস্ত কী রসাতল
তোমার উর্ধ্বাঙ্গ-নিম্নাঙ্গ—তোমার চূড়ান্ত-শীর্ষ, সর্বত্র
তুমি বারবার নিয়ে যেতে পার
তুমি বারবার ফিরিয়ে দিতে পার
তুমি স্বাধীন সার্বভৌম
তোমার প্রকৃত মুক্ততা যুক্ততা আছে
তুমি চাইলেই আমি অঙ্গে অঙ্গে প্রতি অঙ্গে অঙ্গ থেকে তোমার অঙ্গরাজ্যে আসতে পারি, মিশে যেতে পারি
খাপের ভিতর খাপখোলা তলোয়ার সেঁধিয়ে দিতে পারি