গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আইসোলেশনে যুবক!
সিবিএনএ অনলাইন ডেস্ক / ১৭ মে, ২০২১। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। রোজ লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। এতো লাশ চিতায় পোড়ানোর ব্যবস্থা না করতে পেরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনায় মৃতদের।
এদিকে করোনা রোগীর জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় অষুধের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার সোনার হরিণে পরিণত।
করোনা রোগীর ভিড়ে ভারতজুড়ে হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার লেগেছে, সেফহোম বা আইসোলেশন সেন্টারেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আইসোলেশন সেন্টার ও চিকিৎসার অভাবে নিরুপায় হয়ে গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আইসোলেশনে থাকছেন এক যুবক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেই করুণ চিত্র।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, তেলেঙ্গানার নলগোন্ডা জেলার কোঠানন্দিকোন্ডা গ্রামের বাসিন্দা ১৮ বছরের যুবক শিবা। গত ৪ মে তার শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। বিভিন্ন হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারে ঘুরে ঘুরে এতটুকুন জায়গা হয়নি তার। এদিকে বাড়িতে আলাদা থাকার ঘরও নেই। নিজে গ্রামে নেই কোনো আইসোলেশন সেন্টার। ফলে বাধ্য হয়ে সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে বাড়ির একপাশে থাকা গাছের ডালে উঠেছেন এই যুবক।
গাছের মগডালে বানানো মাচায় বসেই গণমাধ্যমকে শিবা বলেন, আমাদের গ্রামে মাত্র দুদিন হলো আইসোলেশন সেন্টার বানানো হয়েছে। কিন্তু সেটা এখনও অনপুযুক্ত। আশপাশের গ্রামগুলোকে আইসোলেশন সেন্টার তো নেই। এমনকি হাসপাতালও নেই। তাছাগা করোনা সম্পর্কে আমার গ্রামের মানুষরা এখনও সচেতন না। এমনকি তাদের কোনো ধারণা নেই যে, দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে। আমি করোনায় আক্রান্ত হলে গ্রামের কেউই আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। এদিকে বাড়িতে আলাদা থাকার মতো ঘর নেই। তাই করোনা যেন আমার গ্রামে না ছড়ায় সেজন্য গাছের মগডালে মাচা বানিয়ে থাকছি। নিজেকে আর সবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখছি।
তথ্যসূত্র: কলকাতা ২৪