কমলগঞ্জে উৎসবহীন বই বিতরণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: || ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি বই উৎসবের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হতো। কিন্তু করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে প্রায় এক দশক ধরে চলে আসা এই নিয়মের।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এবার উৎসবের মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনাম‚ল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা হয় নি। বই উৎসব না হলেও বিকল্প উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। সে লক্ষ্যে উপজেলার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌছাচ্ছে বই।
বৃহস্পতিবার(৩১ ডিসেম্বর) ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুক্রবার (১লা জানুয়ারি) থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে একই দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই না দিয়ে সেটা ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রাথমিকের সব শ্রেণীর বই বিদ্যালয়গুলোতে পৌছালেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণীর বই এখনও পৌঁছায় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয় কুমার হাজরা জানান, এবার করোন ভাইরাসের কারণে উৎসব করে বই বিতরণ হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণের জন্য সকল বিদ্যালয়গুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবার উপজেলার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লক্ষ ৬১ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন জানান,কমলগঞ্জে উৎসবহীন বই বিতরণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হলেও সব শ্রেণীর বই এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় নি। যা বই এসেছে তা দিয়ে বিতরণের কার্যক্রম শুরু করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেওয়া হয়েছে। এবছর উপজেলার ৩৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার বইয়ের ডিমান্ড দেওয়া হয়েছে। বই আসা চলমান রয়েছে। আমাদের কাছে বই আসার সাথে সাথে সেগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণের জন্য প্রদান করা হবে।
কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ররেন্দ্র কুমার দেব জানান, শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সব শ্রেণীর বই আসে নি। যে শ্রেণীর বইগুলো আমরা পেয়েছি সেগুলো বিতরণ চলমান আছে। কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩ শত ৫৮জন। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষার্থী বই পেয়ে যাবে।
কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মঞ্জুর আজাদ মান্না জানান, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার সকাল থেকে আমার বই বিতরণ শুরু করেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার উৎসব করে বই বিতরণ করা হচ্ছে না। তাই প্রত্যেকটা শ্রেণীকে আমরা আলাদা আলাদা সময়ে বিভক্ত করেছি। একদিনে বই বিতরণ না করে আমরা দুইদিনে বই বিতরণ করছি।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন