কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন, ভোটারদের চোখে মেয়র প্রার্থী জুয়েল কেমন?
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি || আগামী ১৬ জানুয়ারি কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনী মাঠ জুড়ে। চুড়ান্ত লড়াইয়ে নিজেদের স্থান দখলে সরব প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মাইকিং, গণসংযোগে মুখরিত পুরো শহর।
বিষয় হলো ভোটারদের চোখে মেয়র জুয়েল কেমন স্থান দখল করেছেন। ভোটারদের মন কতটা জয় করতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আলাপ হয় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন ভোটারের সাথে।
কমলগঞ্জ পৌর এলাকার করিমপুর গ্রামের ভোটার আলাল মিয়া, যোদ্ধাপুর গ্রামের ভোটার প্রবীন মালাকার, গোপালনগর গ্রামের ভোটার গীতেশ দেব, দক্ষিণ কুমড়াকাপন গ্রামের ভোটার আতিকুর রহমান, রামপাশা গ্রামের ভোটার সায়েখ আহমদ, শ্রীনাথপুর গ্রামের ভোটার মাহমুদ আলী চৌধুরীসহ কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান, মেয়র প্রার্থী জুয়েল প্রতিনিয়ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। পৌর এলাকার মানুষদের আপদে বিপদে ছুটে গেছেন তাদের পাশে। করোনার সময়কালে অন্য কোনো নেতাকে পাশে না পেলেও পেয়েছেন জুয়েল কে। নগদ টাকা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেছেন খাদ্য সামগ্রী। জুয়েল আহমেদের কাছে ধনী ও গরীবের কোন বিভেদ নেই। নির্বাচনের এই সময়ে অনেকেই নানা কুৎসা রটাচ্ছেন জুয়েল আহমেদের বিপক্ষে। আমরা ভোটাররা সবই বুঝি। এতদিন এই অভিযোগকারীরা কোথায় ছিলেন। ভোটারদের মনে জুয়েল আহমেদ আছেন, থাকবেনও। আমাদের জানামতে জুয়েল আহমেদ কারো ক্ষতি করেন নি। যে কারো ক্ষতি করে নি, সৃষ্ঠিকর্তাও তার ক্ষতি করবেন না। আমরা ভোটাররা জুয়েল আহমেদের পাশে আছি।
আলাপকালে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ বলেন, আমি মানুষের সেবা করাকে ইবাদত হিসেবে মনে করি। ২০১৫ সালে পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমি চেষ্ঠা করেছি সবসময় তাদের পাশে থাকার। যদিও ৫বছর উন্নয়নের জন্য বেশি সময় নয়। তারপরও এই ৫বছরে আমার প্রতিশ্রুতির সিংহভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। কমলগঞ্জ পৌরসভার শ্রেণী পরিবর্তন, ব্রীজ, রাস্তা সংস্কার, মসজিদ ও মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়কবাতি স্থাপন, সড়কে সৌর প্যানেল বাতি স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আমি আশাবাদী আবারো নির্বাচিত হলে বাকী উন্নয়নমূলক কাজগুলো আমি সমাপ্ত করতে সক্ষম হবো। আমি পৌরবাসীসহ সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ কামনা করছি।