লক্ষীপুরের লক্ষী ছেলে – পাপুল মিয়ার ছড়া
জীবনটা তার দেখছি এখন – অপকর্মেই ভরা।
নেটওয়ার্কটি ছিল তার – সিন্ধু সাগর তীরে
পাচারকারী দুষ্টরা তাই – তার কাছেতেই ভীড়ে।
মানবপাচার, মানিলন্ডারিং – ভিসা জালিয়াতি
দেখছে সবাই খুঁজ নিয়ে তার – আছে বহুত খ্যাতি!
এমন গুণি মানুষ যখন – আমার দেশেই আছে!
পারদর্শী ধান্ধাবাজরা – জুটছে তারই পাছে।
বিত্তবৈভব আছে ভালো – দান খয়রাতও করে
এই সুবাদে আম জনতা – তারই সঙ্গ ধরে।
টাকার গুণে ভাগ্যক্রমে – নেতা হয়ে যায়
নাদুসনুদুস পাপুল মিয়া – আর কে তাকে পায়।
কুয়েত দেশে ছিল তার – আগেই আনাগোনা
অপকর্মের হোতা যারা – পাপুল মিয়ার চেনা।
হাজার বিশেক দেশের মানুষ – করছে নাকি পাচার
চলছে জীবন পাপুল মিয়ার – ছুটছে পিছে টাকার।
পাকিস্তানি নাগরিকদের – টাকার বিনিময়ে
কুয়েত রাষ্ট্রে পাঠিয়েছে সে – নকল ভিসা দিয়ে।
সাথে আরো ইরান দেশের – হাজার খানেক লোক
কারারুদ্ধ হয়ে পাপুল – পাচ্ছে এখন শোক।
করাচি থেকে বাগদাদ অবধি – ছিল তার বিস্তার
খেয়ে ধরা পাপুল সোনা – পাচ্ছে না আর নিস্তার।
হাজার কোটি টাকা নাকি – করছে উপার্জন
এতো টাকা করতে রোজগার – পারছে কতো জন?
সন্দেহটা নজরে আসে – বিপুল লেনদেনে
গোয়েন্দারা নামছে এখন – তথ্য অনুসন্ধানে।
কুয়েত দেশের দুষ্ট কতেক – যোগসাজশে ছিল
পুলিশ তাদের সবগুলোকে – জেল হাজতে নিলো।
জব্দ হলো ব্যবহারের – দামী কতেক জিনিস
অতি লোভে পাপুল মিয়ার – সুনাম এখন ফিনিস।
সে দেশেতেও ছিল তাহার – বিলাসবহুল গাড়ি
গাড়ি, ঘড়ি, গয়না ছাড়াও – ছিল প্রমোদ তরী।
হচ্ছে খবর পত্রিকাতে – ফলাও করে ছাপা
রিপোর্টগুলো সিকিউরিটির – এডিটরের লেখা।
এসব নিয়ে দেশ বিদেশে – হচ্ছে মহা তুফান
পাপুল মিয়া ডুবিয়ে দিলো – জন্মভূমির মান।
২৫/০৭/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।