জননেতা সৈয়দ মহসীন আলী |||| বিশ্বজিৎ মানিক
জন্ম তোমার হয়েছিল নেতা – সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে
রেখেছিলে তুমি পরিবারের মান – অক্ষরে অক্ষরে।
পিতা জনাব আশরাফ আলী – মাতা আছকিরুন্নেছা
আনকার আলী সাহেব ছিলেন – তোমার আপন চাচা।
মৌলভীবাজারের বেরীরপারে – তোমার বসত ঘর
পিতার দেওয়া সহায় সম্পদ – পেয়েছ বিস্তর।
এই বাড়িটি সবার কাছে – অনেক চেনা জানা
দিবানিশি থাকতো লেগে – গণ আনাগোনা।
আটচল্লিশে জন্ম তোমার – এই বাড়িতেই হয়
শৈশব থেকেই চালচলন আর – বাচন মধুময়।
রাজনীতির হাতেখড়ি – স্কুলে পড়া কালে
রাজনীতি আর লেখাপড়া – চলত সমানতালে।
রেসকোর্স থেকে বজ্র কণ্ঠের – আসলো যখন ডাক
খোঁজলে তুমি অস্ত্র হাতে – যুদ্ধে যাবার ফাঁক।
বীরের বেশে আসলে তুমি – যুদ্ধ শেষে দেশে
দেশ গড়াতে মনোনিবেশ – করলে অবশেষে ।
স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে – পাড়ায় গ্রামে গিয়ে
নির্যাতিতের পরিসংখ্যান – আসতে তুলে নিয়ে।
কোথায় কতো যুদ্ধ শহীদ – কতো বীরাঙ্গনা
মহকুমার সংখ্যা তথ্য – তোমার ছিল জানা।
বঙ্গবন্ধুর প্রিয়ভাজন – গণমানুষের নেতা
তিন তিনবার হয়েছিলে – মোদের পৌরপিতা।
স্বৈরাচারের প্রস্তাব ছিল – দল বদলের জন্য
ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানে – হয়েছিলে তুমি ধন্য।
দলের জেলার প্রধান পদের – দায়িত্ব করেছ পালন
চরিত্রে তোমার নিখুঁত ছিল – গণতন্ত্রের লালন।
শীর্ষ নেতৃত্বে ছিল তোমার – উন্নত যোগাযোগ
জেলার পরে এসে গিয়েছিল – দেশ সেবার সুযোগ।
দুইবার হয়েছিলে দেশের – নির্বাচিত সাংসদ
আত্মনিয়োগ করেছিলে তুমি – গড়তে জনপদ।
পূর্ণ মাত্রায় ছিলে তুমি এক – খাঁটি গণতন্ত্রী
হাসিনা’র সরকার বানিয়েছিল – সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
পনেরো সালের আজকের দিনে – চিরনিদ্রায় চলে গেলে
আমরা যারা ছিলাম সাথে – সবাইকে রেখে ফেলে।
চৌধুরী বলে ডাকবে না কেহ আর – কাছে এসে বস তুমি
প্রাণপ্রিয় নেতা মহসীন আলীকে – শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাই আমি।
১৪/০৯/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।