হাড় কাঁপানো শীতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে
সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের দাপট কমছে। গতকাল রবিবার যশোর বাদে সারাদেশের সর্বত্রই তাপমাত্রার পারদ কমবেশি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ঢাকায় একদিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঘন কুয়াশা আকাশের নিচের স্তরে নেমে আসার কারণে গত পাঁচ দিন দেশের কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সূর্যের দেখা না মেলায় এবং জলীয় বাষ্পভরা আর্দ্র বাতাসে ঘন কুয়াশা শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড এ শীতে সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, আজ সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মাসের শেষে তাপমাত্রা বাড়লেও বছর শুরু হবে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে।
এদিকে সারাদেশে হঠাত্ শীত জেঁকে বসায় খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
অফিসগামী মানুষ গায়ে গরম কাপড়, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে অফিস করছে। সকালে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে একটু দেরি করে, তেমনি ঘরেও ফিরছে খুব দ্রুত। সন্ধ্যার পর বা সারাদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম দেখা যাচ্ছে খুব কমই। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেড়েছে আরো বেশি। বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।