করোনাকালে জুয়া থেকে প্রযুক্তিতে ঝুঁকছে ম্যাকাও
মহামারির পূর্বে ম্যাকাওয়ে ৮০ শতাংশের বেশি রাজস্ব আসত জুয়া খেলা থেকে। এই খাতে কর্মরত ছিলেন ৬ লাখ জনসংখ্যার ম্যাকাওয়ের তিনভাগের-একভাগ বাসিন্দা। এবার শহরটিতে প্রযুক্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ দেখিয়ে দিচ্ছে করোনায় লাভজনক থাকতে ব্যবসা ও অর্থনীতির অগ্রাধিকার কীভাবে বদলাচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দুইটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং ও ম্যাকাও। বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিশিল্পে হংকং একটু বেশি অগ্রসরমান হলেও পিছিয়ে আছে ম্যাকাও। পর্যটন ও জুয়া খেলা-ই এই ভূখণ্ডটির অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তবে করোনাভাইরাস মহামারিতে খুব ভালোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ম্যাকওয়ের অর্থনীতি। শহরটি এখন ঝুঁকছে প্রযুক্তির দিকে।
আগামী বছরের জুনে ম্যাকাও ‘বিয়োন্ড’ শিরোনামে প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। যেটা অনেকটা হবে লাস ভেগাসের সিইএস ট্রেড শো এর মতো। অনুষ্ঠানে ম্যাকাওকে হংকং এর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
তবে করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। এই প্রযুক্তি অনুষ্ঠান পিছিয়ে অক্টোবরেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে। জাসন হো ম্যাকাও এর প্রধান নির্বাহী হো ইয়াত সেং এর ছেলে। জাসন হো বলেন, ম্যাকাওয়ের অবকাঠামো বেশ ভালো। আছে বিনোদন ও হোটেলের সুবিধা। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যেমনটা প্রয়োজন।
আয়োজনে যোগ দিতে জাসন হো বাইটড্যান্স, ডিজেআই, সেন্সটাইম ও জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতা জানি। বিভিন্ন শহরের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাই ম্যাকাওয়ে এমন প্রযুক্তি আয়োজন হচ্ছে। যাতে করে গুয়াংডং প্রদেশ, হংকং ও ম্যাকাও এর মধ্যে সমন্বয় করা যায়। কারণ ম্যাকাও শেনজেন বা হংকং এর মতো প্রযুক্তি ভুবনে অতটা পরিচিত নয়।
তবে সিইএস ট্রেড শোতে ইলেকট্রনিক পণ্যে গুরুত্ব দেয়া হলেও, ম্যাকাওয়ের প্রযুক্তি আয়োজনে থাকবে জীবন-বিজ্ঞান, অর্থ-প্রযুক্তি ও কৃষি প্রযুক্তির উপস্থাপনা।
জুয়ার জন্য খ্যাত ম্যাকাও করোনার কারণে পরিণত হয়েছে ভূতুড়ে শহরে। যদিও ফেব্রুয়ারিতে সেখানে ক্যাসিনো খুলে দেয়া হয়, তবে প্রায় কোনো পর্যটনই ছিল না। ম্যাকাওয়ের মোট পর্যটনের ৯০ শতাংশই আসে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ম্যাকাও এর অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৪৯ শতাংশ।
তবে আগস্ট মাসে ম্যাকাও কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে ধীরে ধীরে পুনরায় তারা শহরটি জুয়াড়িদের জন্য খুলে দিতে চায়। কিন্তু তারপরও নভেম্বরে জুয়া থেকে রাজস্ব ছিল মাত্র ৬৬০ কোটি ডলার। যা বিগত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের তুলনায় ৮০.৫ শতাংশ কম।
করোনার পূর্বে ম্যাকাওয়ে ৮০ শতাংশের বেশি রাজস্ব আসতো জুয়া খেলা থেকে। এই খাতে কর্মরত ছিলেন ৬ লাখ জনসংখ্যার ম্যাকাওয়ের তিনভাগের-একভাগ বাসিন্দা। এবার শহরটিতে প্রযুক্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ দেখিয়ে দিচ্ছে করোনায় লাভজনক থাকতে ব্যবসা ও অর্থনীতির অগ্রাধিকার কীভাবে বদলাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি। করোনাকালে জুয়া থেকে প্রযুক্তিতে ঝুঁকছে ম্যাকাও
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন