প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ নয়
বিদ্যুৎ ভৌমিক ||| গত ৬ জানুয়াবী বুধবার আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে গনতন্ত্রের মন্দির বলে পরিচিত ক্যাপিটল হিলে আমেরিকা কংগেসের যৌথ অধিবেশনে আইন-প্রণেতারা যখন ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন । একই দিন দূপুরে কোন নিয়মকানুন বা Decorum না মেনে অবৈধভাবে আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম অস্থিতিশীল ও মানসিকভাবে রুগ্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন ও certification বানচাল করার হীন চক্রান্ত করে ক্যাপিটল হিলের কাছেই একটি আলাদা জনসভার আয়োজন করেন। পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প তাঁর উগ্র সমর্থকদের ক্যাপিটলের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে বলেন। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করতে চাপ দেওয়ার জন্য সমর্থকদের ‘লড়াই করার’ আহ্বান জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সমাবেশ থেকেই মিছিল নিয়ে কয়েকশ উগ্র ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে কংগ্রেসের অধিবেশন চলার মধ্যেই পুলিশের বাধা ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়েন তারা। এ জনসভায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে তার অতি অনুরক্ত ও উগ্র বর্ণবাদী সমর্থকদের এমন প্রত্যক্ষ ইন্দন ও উস্কানি দেন, যে কারণে তার শত শত উগ্র, বর্ণবাদী, সনত্রাসী সমর্থকরা আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল হীলে ঢুকে পড়ে তীব্র আক্রমন, হামলা, উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি করে জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন বানচাল করতে ভয়ানক অপচেষ্ঠা চালিয়েছিল। চরিএহীন, কান্ডজ্ঞানহীন ও মানসিকভাবে রুগ্ন একজন প্রেডিডেন্্ট কিভাবে ২০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীকের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালাতে পারে তা শুধু আমেরিকার গনতন্ত্রমনা মানুষকেই স্তব্দ ও হতবাক করেই ক্ষান্ত হয়নি, গনতন্ত্রের উপর এহেন তীব্র আক্রমন ও হামলা বিশ্বের প্রতিটি গনতন্ত্রমনা মানুষকেই স্তব্দ ও হতবাক করেছে। ট্রাম্প সমর্থকদের এই প্রাণঘাতী হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক হয়েছে বিশ্ব। বিশ্বব্যাপীই তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে । যে ইলেক্টরাল ভোট গণনাকেই কেন্দ্র করে ৬ জানুয়াবী বুধবার সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছিল ট্রাম্প সমর্থকরা। এতে দুঃখজনকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।
এখানে উল্লেখ্য যে, ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে ক্রমাগতই উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রে: ডোনাল্ড ট্রাম্প গনতান্ত্রিক মতাদর্শকে বৃৃদ্যাঙ্গূলি দেখিয়ে ছলে বলে কৌশলে, মিথ্যা প্রহসন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যেমন করেই হোক ক্ষমতা ও হোয়াইট হাউজের গদি তার দখলে রাখার অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভোটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে বারবার দাবি করে আসছিলেন ট্রাম্প। একটি গনতান্ত্রিক দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে বারবার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথাও প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। ভোটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে এমন মিথ্যা অভিযোগ তোলে ট্রাম্পের পক্ষে তার প্রতারক আইনজীবী রুডলফ জুলিয়ানী ৬০টির মত ভূয়া মিথ্যা মামলা দায়ের করলো। কিন্তু গনতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের বৃহওর স্বার্থে নির্ভীক বিচারকেরা একাট্রা হয়ে ট্রাম্পের ভুয়া ও ভিওিহীন মামলাগুলো প্রত্যখ্যান করলেন। এমনকি কেন্দ্রীয় বিচারকরা মামলাগুলোর অন্তঃসারশূন্যতা বর্ণনা করে কঠিন ভাষায় নাকচ করেছেন । নির্বাচনে পরাজয় না–মানা ট্রাম্পের পক্ষে ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে একদিকে তার সমর্থক প্রভাবশালী অপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন একের পর এক, অন্যদিকে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জ্ন্য অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বেপরোয়া হয়ে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মানসিকভাবে রুগ্ন,দূর্নীতিবাজ ও বেপরোয়া ট্রাম্প বুঝতে পারল না – বেআইনিভাবে জনগণের দেওয়া ভোট আমেরিকার মত গনতান্ত্রিক দেশে -যে গনতন্ত্র ২০০ বছরের বেশী সময় ধরে শক্তিশালী ও মজবুত ভিওির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- তা পাল্টাতে পারবে না। একই দিন রাত ৮টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফের অধিবেশনে বসেন কংগ্রেসের দুই কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা। ফের নির্বাচনী জয়ের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া শুরু করতে অধিবেশন শুরু করেন আইনপ্রণেতারা। এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, আজ যারা আমাদের ক্যাপিটলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছ, তোমরা জয়ী হতে পারবে না। চলুন আমরা কাজ শুরু করি। কংগ্রেস সদস্যরা হাততালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম অস্থিতিশীল ও মিথ্যুক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন বাতিল করতে অনুরোধ করেন ও চাপ প্রয়োগ করেন এবং এটা সুখবর যে, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ট্রাম্মের অবৈধ আবদার প্রত্যাখ্যান করেন । এদিকে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনল ঘটনাটিকে ‘ব্যর্থ বিদ্রোহ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা অনাচার ও হুমকির কাছে মাথা নত করব না। আমরা আমাদের অবস্থানে ফিরে এসেছি। সংবিধানের অধীনে এবং আমাদের জাতির জন্য আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আর আজ রাতেই আমরা তা করতে যাচ্ছি। অবশেষে গনতান্ত্রিক নির্বাচনে রাতেই অধিবেশনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস । তীব্র উত্তেজনা, উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিল মার্কিন কংগ্রেস। ইলেকটোরাল কলেজে বাইডেন ৩০৬ ও ট্রাম্প ২৩২ ভোট পেয়েছেন বলে অধিবেশন স্বীকৃতি দেয়। এর মাধ্যমে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হল। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকী, বেআইনী ও অগনতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরদ্ধে গনতন্ত্র ও আইনের শাসনেরই বিজয় সূচিত হল ।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টবৃন্দ যেমন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, প্রে: জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, নবনির্বাচিত প্রেসিডেনট জো বাইডেন – এরা সকলেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ, হতবাক ও বিস্মিত হয়ে তার তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রেসিডেনট জো বাইডেন ট্রাম্পের এমন প্রত্যক্ষ ইন্দন ও উস্কানীকে আমেরিকার ইতিহাসে কাল দিবস হিসাবে আখ্যায়িত করেন । সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, এটি পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনও দেশে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এ হামলার ঘটনা মনে রাখবে; আর সেটি হচ্ছে– এ মুহূর্তটি চরম অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।হামলায় স্তম্ভিত বিশ্ব : ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক ও স্তব্দ হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতারেস দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নেতারা তাদের সমর্থকদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বলবেন। পাশাপাশি সমর্থকদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করাতে ভূমিকা রাখবেন। ২৭ টি দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের চেয়ারম্যান শার্ল মিশেল টুইটারে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস হচ্ছে গণতন্ত্রের মন্দির। যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডে লাইয়েন বলেছেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তির ওপর আস্থাশীল, যার মূল হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর। জো বাইডেন নির্বাচনে জিতেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রয়ের সাথে তাকিয়ে আছি আমি।’ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ওয়াশিংটনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী বলেই মনে করি আমি, শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করছি।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেন শপথ নেবেন ২০ জানুয়ারী ২০২১ খ্রী:। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে তার অতি অনুরক্ত ও উগ্র বর্ণবাদী সমর্থকদের যেভাবে প্রত্যক্ষ ইন্দন ও উস্কানি দিয়ে আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে তীব্র আক্রমন, হামলা, উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছিল, এর পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে Senate ও House of Representative অধিকাংশ আইন-প্রণেতারা বিশ্বাস করতে পারছেনা এবং আইন-প্রণেতারা উদ্বিঘ্ন । আজ ৯ জানুয়ারী আগামী ১১ দিনে ক্ষমতায় থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যে কোনও খারাপ কাজ ও অঘটন ঘটানো অসম্ভব কিছুনা । এমনকি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেন শপথ নেবার দিন ২০ জানুয়ারী ২০২১ খ্রী হামলার আশংকা করছেন অনেক নিরাপওা বিশেষজ্ঞ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে অনির্দিষ্ট কালের জন্য যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে । একজন প্রেসিডেন্টের জন্য এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ নয় যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে এসে পারমাণবিক হামলা চালিয়ে বসতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা। এ জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথাও বলেছেন ডেমোক্র্যাট নেতা ও মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। গতকাল শুক্রবার তিনি নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সহকর্মীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা পেলোসি বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। House of Represenetative এর স্পীকার, ন্যান্সি পেলোসি চিন্তিত হয়ে বলেন ‘অস্থিতিশীল এক প্রেসিডেন্ট যেন সামরিক পদক্ষেপ কিংবা পারমাণবিক হামলা না চালিয়ে বসেন, সে বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই আমি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলের সঙ্গে কথা বলেছি।’ চিঠিতে পেলোসি লিখেছেন, ‘আমাদের দেশ ও গণতন্ত্রের ওপর বিপর্যস্ত এক প্রেসিডেন্টের হামলা ঠেকিয়ে মার্কিন জনগণকে রক্ষা করতে আমাদের সবকিছুই করতে হবে। মার্ক মিলের মুখপাত্র কর্নেল ডেভ বাটলার বলেছেন, পেলোসি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের মার্ক মিলের মুখপাত্র কর্নেল ডেভ বাটলার বলেছেন, পেলোসি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানকে ফোন করেছিলেন। পারমাণবিক অস্ত্রের কর্তৃত্ব বিষয়ে পেলোসির কথার জবাব দিয়েছেন তিনি। ডেমোক্র্যাট নেতাদের লেখা চিঠিতে পেলোসি আরও বলেন, ট্রাম্প এখনই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে, অথবা আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২৫তম সংশোধনী কার্যকর না করলে তিনি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত আছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২৫তম সংশোধনী কার্যকর করে অধিকাংশ কেবিনেট সদস্যদের সমর্থন নিয়ে ২০ জানুয়ারীর আগে আমেরিকার ইতিহাসের অন্যতম অস্থিতিশীল ও মানসিকভাবে রুগ্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যূত করতে পারেন। তা না হলে আগামী সোমবার থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধ অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে । দিকে দিকে দেশে দেশে সত্য, সুন্দর, ন্যায়, গনতন্ত্র ও মানবতার জয় সূচিত হউক-এ প্রার্থনা, প্রত্যাশা ও কামনা করছি ।
সূ্ত্র: সিএনএন. সিবিসি ও বাংলা সংবাদপত্র
প্রাক্তন অধ্যাপক, কলামিষ্ট ও CBNAএর উপদেষ্টা
মন্ট্রিয়ল, ক্যানাডা, ৯ জানুয়ারী ২০২১
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন