গোটা বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন, অনেকে আবার সুস্থও হয়ে উঠছেন। কিন্তু ৩২ বছর বয়সী এক নারীর করোনা থেকে যেন মুক্তিই মিলছে না। গত বছর ২৮ আগস্ট প্রথমবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ভারতের রাজস্থানের বাসিন্দা ওই নারীর। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু তারপর থেকে বিগত পাঁচ মাসে আরও ৩১ বার তার করোনা পরীক্ষা হয়। কিন্তু প্রতিবারই সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সর্বশেষ ওই নারীর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এ বছরের ৭ জানুয়ারি। এছাড়া অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয় ১০ জানুয়ারি। প্রতিটি রিপোর্টেই তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সারদা নামের ওই নারী রাজস্থানের ভরতপুরের বাঝেরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। কোভিড পজিটিভ হওয়ার পরই তাকে ভরতপুরের আরবিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতি দেখার পর একজনকে সবসময় তার সঙ্গে রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কোয়ারেন্টাইনের জন্য তাকে ‘আপনা ঘর আশ্রম’-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ওই আশ্রমের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সারদা মানসিকভাবে অসুস্থ। তার আরো অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে। সারদার স্বামী মারা গেছেন। বাবা-মাও মৃত। তার ভাই ও ভাবী তাকে ওই আশ্রমে রেখে গেছেন।
আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে সারদার ওপর হোমিওপ্যাথি, আর্য়ুবেদিক, অ্যালোপেথিক- সব ধরনের ওষুধই প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কোনো লাভ হয়নি। অবশ্য এই সময় কখনই তার স্বাস্থ্যের কোনো অবনতিও হয়নি, শরীরে কোনও দুর্বলতাও দেখা যায়নি। তাতে আরও অবাক চিকিৎসকরা।
‘আপনা ঘর আশ্রমে’র প্রতিষ্ঠাতা জানান, সারদাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ভরতপুরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই নারীর করোনার কোনো উপসর্গ নেই। কিন্তু তারপরও তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে। তার মতে, শরীরে অন্য কোনো ধরনের সংক্রমণ থাকায় তার হয়তো বারবার করোনা পজিটিভ ফল আসছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, সারদার মাধ্যমে অন্যদের আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা খুবই কম।
ইতিমধ্যে জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানার পর সেখানকার চিকিৎসকরাও অবাক হয়েছেন। ওই নারীকে আপাতত জয়পুরের হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা হবে বলে জানা গেছে। ভরতপুরে এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো করোনা আক্রান্ত নেই। কিন্তু একজনের বারবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
সূত্র: জি নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন