পঙ্গপাল থেকে সার, হাঁস-মুরগি-গরুর খাবার
কেনিয়ার কিছু অঞ্চল এখন পঙ্গপালের দখলে। যেখানে যাবেন সেখানেই পঙ্গপাল। ক্ষেতের সব ফসল যাচ্ছে পঙ্গপালের পেটে। নিরুপায় কৃষকরা তাই পঙ্গপাল বিক্রি করেই বাঁচার চেষ্টা করছেন।
একদিনে ১৫০ কিলোমিটার দূরে উড়ে যেতে পারে পঙ্গপালের ঝাঁক। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক ঝাঁকে থাকে চার থেকে আট কোটি পঙ্গপাল। তাই পঙ্গপাল ওড়া মানে আকাশ প্রায় অন্ধকার আর মাটিতে নামা মানে মহা সর্বনাশ।
কেনিয়ার রুমুরুতি শহরে শান্তিতে পথ চলা দায়। একটি ছবিতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল আরোহী তো পঙ্গপালের উৎপাতে পথই দেখতে পারছেন না।
পঙ্গপাল আসে খাবারের খোঁজে। সবুজ পাতা আর ক্ষেতের ফসল তাদের খাবার। তাই যে অঞ্চলেই পঙ্গপালের ঝাঁক সেখানে অল্প সময়ের মধ্যেই সব ফসল শেষ।
কৃষকদের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে স্টার্ট-আপ কোম্পানি দ্য বাগ পিকচার। বিজ্ঞানীদের সহায়তায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর অভিনব এক উপায় বের করেছেন তারা। ফলে কৃষকদের মলিন মুখে দেখা দিয়েছে মৃদু হাসি।
কৃষকদের ক্ষেতের ফসল পঙ্গপালের পেটে যেতে দেখে শুধু হায় হায় না করে পঙ্গপাল দিয়েই সামান্য আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে দ্য বাগ পিকচার। ক্ষেত থেকে পঙ্গপাল ধরে তা বিক্রি করেই আনন্দ পাচ্ছেন কৃষকরা।
পঙ্গপালের প্রতি কেজি ৫০ কেনীয় শিলিং (০.৪৫৬৬ ডলার) হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। কৃষকদের কাছ থেকে কেনা সব পঙ্গপাল বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছেন দ্য বাগ পিকচারের কর্মীরা। বস্তায় ভরে আনা পঙ্গপাল প্রথমে ভালো করে শুকানো হয়। তারপর গুঁড়ো হয়ে যায় সব রাক্ষুসে পোকা।
পরীক্ষাগারে শুকনো পঙ্গপালের গুঁড়োর প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা যায় পঙ্গপালের গুঁড়ো পশুখাদ্য হিসেবে দারুণ।পঙ্গপালের গুঁড়োর তৈরি জৈবসার ফসলের ফলন বাড়াতে সহায়তা করে। তাই কেনিয়ায় সার হিসেবেও সংরক্ষণ করা হচ্ছে পঙ্গপাল।
মুরগিকে খাওয়ানো হচ্ছে পঙ্গপাল গুঁড়ো করে বানানো খাবার। এ খাবার গবাদি পশুসহ আরও কিছু প্রাণীর পেটে যাচ্ছে এখন।
-সূত্র: ডয়চে ভেলে
এস এস/সিএ