ছবি : সংগৃহীত
ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি জিডি করেছে (জিডি নং ১১৫১)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স মমতাজ বেগম জানান, শিশুটি আসার পর তাকে দুধ পান করানো হয়েছে এবং সে সুস্থ আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে এক তরুণী মা শিশুটিকে নিয়ে বাস থেকে ভৈরবে নামার পর পাশের এক দোকানে যান। এরপর এক মহিলা ভিক্ষুককে ওই নারী বলেন, ‘শিশুটিকে একটু রাখেন, আমি বাথরুমে যাব।’ সরল মনে ওই ভিক্ষুক শিশুটিকে কোলে রাখেন। তারপর বাথরুমের কথা বলে ওই তরুণী আর ফিরে আসেননি।
এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর ওই ভিক্ষুকের সন্দেহ হয়। এ সময় স্থানীয় আশরাফুল হোসেন নামে এক যুবককে তিনি ঘটনাটি জানান। পরে ওই যুবক ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন। তারপর পুলিশ ঘটনাটি থানায় জিডি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়।
ঘটনা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালের ডা. বুলবুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে রাখতে বললে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।
জানতে চাইলে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক মো. মহসীন জানান, আশরাফুল নামে এক যুবক শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসেন। তখন তিনি ঘটনা খুলে বললে এ বিষয়ে থানায় জিডি করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘটনাটি অবহিত করে শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, ভিক্ষুকের কোলে নবজাতক রেখে পালালেন তরুণী! সেই তরুণীকে শনাক্ত করা যায়নি এখনো, ‘ঘটনাটি আমি অবহিত হয়ে পুলিশকে থানায় জিডি করতে বলি। তারপর শিশুটিকে উপজেলা হাসপাতালের ডা. বুলবুলের তত্ত্বাবধানে রেখেছি। আপাতত হাসপাতালে শিশুটি থাকবে।’
‘শনিবার অফিস খোলা হলে আদালতের অনুমতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তারা কিশোরগঞ্জ আদালতে বিষয়টি অবগত করবে’ বলেও জানান লুবনা ফারজানা। তিনি বলেন, আদালত যদি শিশু সদনে পাঠানোর আদেশ দেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।