মোহাম্মদ আব্দুল শাকুর
স্ত্রী-সন্তান হত্যায় লন্ডনে বাংলাদেশির যাবজ্জীবন ।। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে এক বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।
১৯৯৯ সালে বিয়ের পর থেকে স্ত্রী জুলি বেগম (২৬), দুই সন্তান তানহা খাতুন (৬) ও আনিকা খাতুনকে (৫) নিয়ে পূর্ব লন্ডনের ইস্ট হামে বসবাস করতেন মোহাম্মদ আব্দুল শাকুর। সেখানে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ওই বাসার বেডরুম থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২০০৬ সালে তাদের হত্যার পর মোহাম্মদ আব্দুল শাকুর (৪৬) নামের ওই ব্যক্তি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। দীর্ঘ তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত করে, তাদের শাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পরই আব্দুল শাকুর বাংলাদেশে আসেন। পরে ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। ২০১৯ সালের এপ্রিলে কমনওয়েলথের মাধ্যমে তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরানো হয়।মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অপরাধ বিভাগের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট আমজাদ শরিফ বলেন, শাকুর কীভাবে এত নির্মম ও হিংস্রভাবে তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করতে পারল, সেটা সত্যিই বিস্ময়কর।
আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জুলির পরিবার বলেছে, আব্দুল শাকুর আমাদের পরিবারকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। জুলি ও তার দুই সন্তানকে হত্যা করেছে। আমরা কল্পনাই করতে পারি না, সে তাদের কীভাবে হত্যা করতে পারল। আমরা তাদের প্রতিনিয়ত স্মরণ করি। তাদের মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।
আমজাদ শরিফ বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত জুলির পরিবারকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, এই হত্যার বিচার কোনদিনও হবে না। বিশেষ করে তার পালিয়ে যাওয়া ও আটকের আগে এমনটা মনে হয়েছে। অবশেষে সুবিচার নিশ্চিত হওয়ায় আমরা এখন খুশি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে এই সাজা দেন লন্ডনের দ্য ওল্ড বেইলি আদালত। স্ত্রী-সন্তান হত্যায় লন্ডনে বাংলাদেশির যাবজ্জীবন উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৪০ বছর।