মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জীবনযাত্রা ব্যাহত। আর সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন দিন মজুররা। আর এই দিনমজুর হতদরিদ্রদের মুখে হাসি ফুটাতে এগিয়ে এসেছেন কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৩টায় গাড়ি নিয়ে উপজেলার বাজারে বাজারে ঘুরে রিক্স্রাচলক, ভিক্ষুকসহ হতদরিদ্র অর্ধশতাধিক লোকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: আরিফুর রহমান। ভানুগাছ বাজার, শমসেরনগর বাজার ঘুরে ডেকে এনে জনপ্রতি ৫কেজি চাল, ১কেজি ডাল ও ১কেজি আলুসহ অর্ধশতাধিক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সবকিছু বন্ধ। এই বন্ধে দিনমজুররা কষ্টে রয়েছেন। তাই মানবিক কারণে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ হতে হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
কমলগঞ্জে সেনা টহল শুরু জনমানবশূণ্য রাস্তাঘাট
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা, সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগ্রহণে শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সেনাবাহিনী টহল শুরু করেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে সেনাবাহিনী করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসহ সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করছে। বিশেষ করে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি বা অবহেলা করছে কিনা, তাও তদারকি করছে সেনাবাহিনী।
এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সেনা সদস্যরা বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিন ও সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার পাশাপাশি জনসমাগম রোধসহ বাজার মনিটরিং কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় সরজমিনে দেখা গেছে, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ-কুলাউড়া, কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটেও লোকজন খুব কম লক্ষ্য করা গেছে। সেনাসদস্যদের টহলের খবরে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম। তবে জরুরী প্রয়োজনে মানুষজন মাস্ক পরে বের হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশেকুল হক জানান, কমলগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ অধিকতর ফলপ্রসূ করতে সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৫ সদস্যের একটি দল গত বৃহস্পতিবার তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, অহেতুক জনগণ যেনো বাইরে না আসেন। নিজ ঘরে আবদ্ধ থেকে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতা করবেন। অন্যথায় কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
বাঅ/এমএ