তথ্য ফাঁস করলেন চীনের হাসপাতাল ও বন্য প্রাণীর হাট দেখে আসা বিজ্ঞানী ।।করোনা লক্ষণ নিয়ে বাড়িতে? যেভাবে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখবেন ।। দাড়ি কামালেই কমবে কি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি?
অবশেষে তথ্য ফাঁস করলেন চীনের হাসপাতাল ও বন্য প্রাণীর হাট দেখে আসা বিজ্ঞানী । ৬৩ বছর বয়সী অণুজীব বিজ্ঞানী ইয়েন কোয়াক-ইয়েন। চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হংকংয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে উহান শহর ঘুরে দেখেছেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) সহায়তায় সেখানে যাওয়া গবেষকদলের মধ্যে সার্স গবেষক ঝং ন্যানশান এবং চীনের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের প্রধান জর্জ গাও ছিলেন।
করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে যাওয়া গবেষকদের তৃতীয় দলে ছিলেন ইয়েন কোয়াক-ইয়েন। এই দল সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর জানিয়েছে, এক কোটি ১০ লাখ মানুষ সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
অভিজ্ঞ এই বিজ্ঞানী উহান শহরের হাসপাতাল থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণী বিক্রির হাট ঘুরে দেখে আসার পর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেখানে যা শুনেছেন, দেখেছেন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে স্থানীয় কর্মকর্তারা কী ধরনের আচরণ করছেন, সেসব ব্যাপারেও মুখ খুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হংকং ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করে একে মোকাবিলার উপায় বাতলে দিয়ে খ্যাতি পেয়েছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হংকংয়ে যে চারজন বিশেষজ্ঞদল গঠন করা হয়েছে, তারও সদস্য তিনি।
তিনি মনে করেন, বিভিন্ন স্থানে মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। একইভাবে বন্যপ্রাণীর মাধ্যমেও করোনা ছড়াচ্ছে। স্ট্রেইটস টাইমসের সাংবাদিক তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এখানে তা তুলে ধরা হলো-
আপনি উহানে কী দেখলেন?
আমার কাছে যা সত্য মনে হয়েছে, তা বলছি। আমরা উহানে যে জায়গাগুলো ঘুরেছি, সেসব দেখে মনে হয়েছে- তারা আমাদের বেশি বেশি দেখাচ্ছিল (প্রদর্শনীর মতো)। আমরা কোনো কিছু জানতে চাইলে তারা সুচিন্তিতভাবে উত্তর দিয়েছে। সেসব শুনে মনে হয়েছে, তারা কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে ঝং ন্যানশান এসব ব্যাপারে আরো পারদর্শী। এ ধরনের কিছু ঘটলেই উনি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন করছিলেন। প্রশ্নগুলো এমন- এখানে আর কিছু ঘটেছে? আপনি যা বলছেন, ঘটনাগুলো কি সে রকমই?
১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা বলছিল, তারা তখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। চাপের মুখে তারা স্বীকার করেছে হুবেই প্রভিনশিয়াল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারে ১৪ জন মেডিকেলের কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তারা বারবার বলছিল, তাদের স্টাফ আক্রান্ত হয়েছে কিনা, সেটা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি।
তারা কারা? যখন আপনাদের দল উহান হসপিটালে গেল, সেখানে কারা ছিল?
উহান মিউনিসিপ্যাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তারা ছিলেন। উহান সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের কর্মকর্তা এবং উহানের স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারাও ছিলেন।
আপনার কি মনে হয়েছে, তারা কিছু লুকাচ্ছে?
আমরা যখন খাবার খাচ্ছিলাম, আমি খেয়াল করে দেখলাম উহানের ডেপুটি মেয়র একেবারে গম্ভীর হয়ে পাশের টেবিলে বসে আছেন।
উহান থেকে বেইজিং ফিরে আপনারা কর্তৃপক্ষকে কী জানালেন?
আমরা ডেপুটি লেভেলের জাতীয় পর্যায়ের নেতা এবং ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ হয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানুষের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অবিলম্বে নেওয়া দরকার।
এর আগে ২০০৭ সালে আমি সার্স নিয়ে গবেষণার ফল প্রকাশ করেছি। ওই সময়ই আমি বলেছি, বাদুড় নানা রকমের করোনাভাইরাস বহন করে। এমনকি চীনে বন্যপ্রাণী না খাওয়ার ফলে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলাম।
তার মানে উহান অবরুদ্ধ করে রাখার ব্যাপারে মত দেওয়া বিশেষজ্ঞদের আপনি একজন?
আমাদের বিশেষজ্ঞ দলের একজন এই মত দিয়েছেন। তিনিই বলেছেন, উহান অবরুদ্ধ করে রাখা উচিত। তিনি অত্যন্ত পেশাদার ব্যক্তি। মহামারী-সংক্রান্ত বিদ্যায় অত্যন্ত ভালো মানের বিজ্ঞানী।
আপনি কি চীনের বন্যপ্রাণী বিক্রির বাজারে গেছেন?
ওই বাজার ততক্ষণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা কয়েকজন গাড়িতে চড়ে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা বাজারটির চারপাশ ঘুরে দেখেছি। সেখানে একজন এসে জানালেন, আমরা গাড়ি থেকে নামলেও আর কিছু দেখতে পাবো না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এর আগে বাজারটি কেমন ছিল। একজন বলল, খুবই নোংরা; আবর্জনা আর ইঁদুরে ভরা। একেবারেই খারাপ পরিবেশ যাকে বলে। অথচ, বিশাল বাণিজ্যিক এলাকার পাশেই ওই বাজার।
দাড়ি কামালেই কমবে কি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি?
বর্তমানে সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনা ভয়ে। বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত এই ভাইরাসে। এই আতঙ্কের আবহে হঠাত্ করেই একটি খবর ভাইরাল হয়ে যায়। একদম পরিষ্কার করে কামিয়ে ফেলতে হবে দাড়ি! একেবারে ঝকঝকে করে দাড়ি কামালেই নাকি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব!
কোথা থেকে জানা গেল এই অদ্ভুত উপায়? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ সংস্থা সিডিসি বা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একটি সচিত্র নির্দেশিকার (গ্রাফিকাল ইনস্ট্রাকশন) ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, দাড়ি কামিয়ে ফেলতে শুরু করেন আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ। প্রসঙ্গত, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সঠিক ভাবে গ্যাস মাস্ক পরার জন্য হিটলারকেও তার লম্বা দাড়ি কেটে ফেলতে হয়েছিল। ফলে গ্যাস মাস্কের জন্যই হারিয়ে গিয়েছিল হিটলারের দাড়িওয়ালা মুখের ছবি!
দাড়ি কামিয়ে ফেললেই কি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে? কেন এমন অদ্ভুত নির্দেশিকা জারি করেছিল সিডিসি? জানা গেছে, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের একটি পোস্টে সম্পূর্ণভাবে দাঁড়ি-গোঁফ কামিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ওই সচিত্র নির্দেশিকা।
এই উপায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এই করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে তাই যে যে নিয়মগুলো অনুসরণ করতে বলেছেন চিকিৎসকেরা সেইগুলো যথাযথভাবে পালন করা জরুরি।
এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু কিছু নিয়ম বা সাবধানতা যদি আমরা প্রতিনিয়ত অনুসরণ করি, তাহলে হয়তো এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধুতে হবে। ভালো করে হাত না ধুয়ে চোখে, মুখে বা নাকে হাত দেওয়া যাবে না। অসুস্থ থাকলে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। হাঁচি-কাশি বা সর্দির সময় রুমালের বদলে টিস্যু ব্যবহার করুন। নিজেকে সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। উপযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করুন।
করোনা লক্ষণ নিয়ে বাড়িতে? যেভাবে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখবেন
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছে পুরো বিশ্ব। এই ভাইরাস ঢুকেছে বাংলাদেশেও। আর ভাইরাস সংক্রমণ থেকে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে রাখাও আপনার কর্তব্য। এক্ষেত্রে যেসব ব্যবস্থা আপনাকে নিতেই হবে সে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বল্প শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ বা জ্বরে আক্রান্ত হওয়া লোকদেরকেও নিজেকে আলাদা করতে বলা যেতে পারে।
করোনার কারণে স্ব-বিচ্ছিন্ন (সেল্ফ আইসোলেশন) হওয়ার সময় আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না সে সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। এ বিষয়টি এখানে তুলে ধরা হলো-
স্ব-বিচ্ছিন্নকরণ সম্পর্কে বর্তমান নির্দেশিকা কী?
কোনও চিকিত্সক বা করোনাভাইরাস পরিষেবা দ্বারা পরামর্শ দেওয়া হলেই কেবল আপনাকে স্ব-বিচ্ছিন্ন হতে হবে বা নিজেকে আলাদা রাখতে হবে যাতে এই ভাইরাস ছড়াতে না পারে।
আপনার যদি মনে হয় যে, আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বা আক্রান্ত কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হয়েছে তবে আপনার চিকিত্সা-পরামর্শ নেওয়া উচিত।
করোনাভাইরাসে উচ্চতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমন দেশে গত ১৫ দিনের মধ্যে যারা ভ্রমণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। দেশগুলো হলো ইতালি, থাইল্যান্ড ইরান, চীন ইত্যাদি।
কখন পরিবর্তন হতে পারে?
ফ্লু বা সর্দি অথবা জ্বরসহ শ্বাসকষ্টের মতো সংক্রমণের লক্ষণগুলো থাকলেও লোকদের শীঘ্রই নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে বলা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা বা ফ্লুর লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরকে সাতদিন স্ব-বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
স্ব-বিচ্ছিন্নতার অর্থ কী?
যদি আপনাকে স্ব-বিচ্ছিন্ন করতে বলা হয় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ঘরে থাকতে হবে। এ সময়ে কর্মস্থলে বা স্কুলে যাওয়া বা পাবলিক জায়গাগুলোতে যাওয়া এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা ট্যাক্সি ব্যবহার না করা উচিত।
বাড়ির অন্যান্য লোকদের কী হবে?
এ সময়ে ফ্লু বা সর্দি অথবা জ্বরসহ শ্বাসকষ্টে ভুগলে নিজেকে পরিবারের অন্য মানুষের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা উচিত। একইসাথে পরিবারের লোকদেরও সাথেও একই কক্ষে থাকা উচিত হবে না।
আলাদা বাথরুম না পাওয়া গেলে বিকল্প বাথরুমের সম্পর্কেও ভাবতে হবে। স্ব-বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির বাথরুমটি ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আপনার থালাবাসন, পানির গ্লাস, কাপ, খাবারের পাত্র, তোয়ালে, বিছানাপত্র বা অন্যান্য জিনিসগুলো পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
আপনি যদি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কিংবা আবাসস্থলে কারো সাথে শেয়ার করে বাস করেন তবে একসাথে রান্নাঘর, বাথরুম এবং থাকার জায়গা ব্যবহার করবেন না। সবার সাথে একসাথে না বসে নিজঘরে আলাদাভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত।
কীভাবে ঘরে খাবার এবং টয়লেট্রিজের ব্যবস্থা পেতে পারি?
আপনি যদি স্ব-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তবে আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে মুদি, ওষুধ বা অন্যান্য কেনাকাটার কাজগুলি সম্পন্ন করতে হবে। এই কাজগুলো নিজে করতে যাবেন না।
আপনি যদি অনলাইনে অর্ডার দেন তবে ডেলিভারি ড্রাইভারকে সরবরাহ করা আইটেমগুলো আপনার ঘরের বাইরে রাখতে বলতে হবে।
একা বসবাসকারী কোনও প্রবীণ আত্মীয়ের স্ব-বিচ্ছিন্নতায় কী হবে?
স্ব-বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের উচিত হবে না কাউকে দাওয়াত দেওয়া। ঘরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত নয়।
যদি আপনি মনে করেন যে, কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে মনোনীত মেডিকেল কর্তৃপক্ষে সাথে আলোচনা করা উচিত।
পরীক্ষা মাধ্যমে স্ব-বিচ্ছিন্নতা এড়াতে পারি না?
সম্প্রতি করোনা কবলিত নির্দিষ্ট কিছু দেশে ভ্রমণ করেছেন আপনি। কিন্তু পরীক্ষার পরও যদি নিশ্চিত হন যে, আপনি কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হননি। তবুও আপনার নিজেকে ঘরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা রাখা উচিত।
সূত্র : বেলফাস্ট টেলিগ্রাফ
সর্বশেষ সংবাদ
কানাডার সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন