প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

নবীগঞ্জে সৌদি প্রবাসী গৃহকর্মী সাজনার লাশ নিয়ে তোলপাড়

সৌদি প্রবাসী গৃহকর্মী সাজনা আক্তার

নবীগঞ্জে সৌদি প্রবাসী গৃহকর্মী সাজনার লাশ নিয়ে তোলপাড়

নবীগঞ্জে সৌদি প্রবাসী গৃহকর্মী সাজনার লাশ নিয়ে তোলপাড় চলছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স কনকর্ড এপেক্স এর মাধ্যমে সৌদি গমন করে গৃহ বধূ সাজনা। তাকে গ্রহন করে সৌদিস্থ রিক্রুটমেন্ট সাহেল আল বাতেন অফিস। ২ আগস্ট সৌদি আরবে ওই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। গতকাল এ খবর নিশ্চিত করেন কনকর্ড স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন। ঘটনার ২২ দিন অতিবাহিত হলেও মৃত্যুর খবর গোপন রাখে কনকর্ড নামের প্রতিষ্ঠান। এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত লাশের কোন সুরাহা হয়নি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছে দালাল চক্র। সাজনার পরিবার ও দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দরিদ্র পরিবারের অভাব গোছাতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরব গমন করে গৃহবধূ সাজনা। নিকটতম আত্মীয় গোলাপ মিয়ার প্রলোভনে সুখের আশায় সৌদি গমন করেন তিনি। রাজধানী ঢাকার কনকর্ড এপেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান সৌদি গমনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সালাম এয়ারলাইনসের একটি বিমানে তার ফ্লাইট হয়। প্রথম তিনমাস সেখানে ভালই চলছিল। এরপরই শুরু হয় নির্যাতন।

অসহনীয় নির্যাতন সইতে না পেরে পরিবারের লোকজনকে অবহিত করে সাজনা। দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানিয়ে ফোন করে। তাকে মেরে ফেলার আশংকা ব্যাক্ত করেন তিনি। সাজনার স্বামী মিজানুর রহমান ও স্বজনরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দালাল গোলাপ ও কনকর্ডের নিকট ধর্ণা দেয়। নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে সৌদি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান কনকর্ড এপেক্স ও তাদের সহযোগী গোলাপ। এক পর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তবর্গ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ বাছিতের উপস্থিতিতে শালিস হয়।

সাজনাকে ফিরিয়ে আনতে সর্বশেষ দুই লক্ষ টাকায় সম্মত হয় কনকর্ড এপেক্স। স্বর্বস্ব বিক্রি করে দালালের চাহিদা পূরণ করে স্বজনরা। ১১ জুলাই গোলাপের শ্যালক দিলকাছ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নগদে টাকা গ্রহন করে। সাজনার ভগ্নিপতি আলী আহমদ গোলাপের কথামত নগদে টাকা প্রদান করে। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সাজনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয় কনকর্ড এপেক্স ও গোলাপ মিয়া। কথার হেরফের হয়। নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে। এরই মধ্যে সাজনার মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয়। এনিয়ে সাজনার স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, গবাদি পশু বিক্রি করে টাকা দেয়ার পরও স্ত্রীকে জীবিত পেলাম না। তিনি এর বিচার দাবি করেন। সাজনার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মর্মে দাবি করেছে মেসার্স কনকর্ড এপেক্স। তবে মৃত্যুর খবর গোপন রাখার বিষয়টি এড়িয়ে যায় তারা।

 

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন