ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

সিদ্ধার্থ সিংহের  এক ডজন প্রাপ্তবয়স্ক ঝলক-গল্প

সিদ্ধার্থ সিংহের  এক ডজন প্রাপ্তবয়স্ক ঝলক-গল্প


গার্ডার

কয়েকটি ছেলে বাইকের উপরে বসে গুলতানি মারছিল। একটি ছেলে হাঁফাতে হাঁফাতে এসে বলল, ভাই, দশ লাখ টাকার বান্ডিল গার্ডার দিয়ে আটকানো ছিল। তোদের কি কারও হারিয়েছে?
একমুহূর্ত নিল না। ওদের মধ্যে থেকে একজন বলে উঠল, আমার… আমার…  আমার…
বাকি ছেলেগুলো তার মুখ চেপে ধরে সবাই মিলে একসঙ্গে বলা শুরু করল, না না, আমার… আমার… আমার…
ছেলেটি বলল, দাঁড়া দাঁড়া, টাকাটা পাইনি। গার্ডারটা পেয়েছি। বলেই, তিন-চারটে গার্ডার ওদের দিকে এগিয়ে দিল।
—————————
কাজের মেয়ের ঘর

স্বামী বলল, তোমার ভাই কিন্তু ভীষণ বিগড়ে গেছে।
স্ত্রী অবাক হয়ে বলল, কী হয়েছে?
স্বামী বলল, কাজের মেয়ের ঘর থেকে ওর চটি পেলাম।
স্ত্রী বলল, ও… তা তুমি ওখানে কী করতে গিয়েছিলে?
হাতের জাঙ্গিয়াটা দেখিয়ে স্বামী বলল, এটা ফেলে এসেছিলাম।
— ও, বলেই বিস্ফারিত চোখে স্ত্রী বলল, অ্যাঁ?
—————————

বাইকের আওয়াজ


দ্বিতীয় বউ বলল, আচ্ছা, তুমি বাইকের আওয়াজ শুনলে এত ভয় পাও কেন?
বর বলল, আসলে দু’বছর আগে একটা বাইকের পেছনে বসেই আমার বউ চলে গিয়েছিল তো!
— তাতে এখন ভয় পাওয়ার কী আছে?
— আরে, বাইকের আওয়াজ শুনলেই আমার মনে হয়, ওকে আবার দিতে এল না তো!
—————————
ছয়
রাত্রিবেলায় স্বামী খাটে উঠে আসার একটু পরেই স্ত্রী বলল, এই, তোমাকে একটা কথা বলব?
স্বামী বলল, বলো না…
স্ত্রী বলল, আমি মরে গেলে তুমি একটা বিয়ে কোরো।
কী একটা ভেবে নিয়ে স্বামী বলল, ঠিক আছে, তুমি যখন বলছ, তাই করব।
তার পরেই স্ত্রী বলল, আমার শাড়িগুলোও তাকে দিয়ে দিও।
ফের কী একটা ভেবে নিয়ে স্বামী বলল, ঠিক আছে, তুমি যখন বলছ, তাই করব।
তার পরেই স্ত্রী বলল, আমার জুতোগুলোও তাকে দিয়ে দিও।
সঙ্গে সঙ্গে স্বামী বলল, সেটা কী করে হবে! তোমার পায়ের সাইজ তো পাঁচ। আর ওর তো ছয়।
যে-ই না ‘ছয়’ বলা, অমনি রণমূর্তি ধারণ করল স্ত্রী।
—————————

স্বাভাবিক


স্ত্রী এসে বলল, আমাদের ঝগড়া হলে তুমি সব সময় আমার বাপের বাড়ি তুলে কথা বলো কেন গো?
স্বামী বলল, সেটাই তো স্বাভাবিক। তোমার মোবাইল খারাপ হলে তুমি কি মোবাইলকে গালাগালি দেবে, না মোবাইল কোম্পানিকে?
—————————

আগ্রহ


সন্ধে বেলায় স্বামী বেরোতে যাবে এমন সময় বউ এসে বলল, কী ব্যাপার বলো তো? যে দিন থেকে আমাদের বিয়ে হয়েছে, সে দিন থেকে তুমি আর আমাকে আগের মতো ভালবাসো না!
জামার বোতাম আটকাতে আটকাতে স্বামী বলল, মনে নেই? তোমাকে তো আমি বিয়ের আগেই বলেছিলাম, বিয়েওয়ালা মেয়েদের প্রতি আমার কোনও আগ্রহ নেই।
—————————
কী রকম ছেলেকে

কথায় কথায় মেয়েটি তার বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করল, তুই কী রকম ছেলেকে বিয়ে করবি?
বান্ধবী বলল, একদম লেখাপড়া জানে না এমন ছেলেকে।
— কেন?
— তা হলে সে আর কারও সঙ্গে চ্যাটও করতে পারবে না। আর আমার চ্যাটও পড়তে পারবে না।
—————————

মেশিন


পুলিশ অফিসারটি বললেন, ম্যাডাম, আপনাকে অ্যারেস্ট করা হচ্ছে।
ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন, কেন?
— আপনার কাছে জাল নোট ছাপার মেশিন পাওয়া গেছে।
ভদ্রমহিলা বললেন, জাল নোট পেয়েছেন কি?
— না।
— তা হলে?
পুলিশ অফিসারটি বললেন, মেশিন তো পাওয়া গেছে।
ভদ্রমহিলা জানতে চাইলেন, মেশিন থাকলেই আমি অপরাধী?
— হ্যাঁ, মেশিন থাকলেই অপরাধী।
ভদ্রমহিলা বললেন, তা হলে আমিও আপনার নামে রেপ কেস দেবো।
পুলিশ অফিসারটি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন?
— আপনার কাছে রেপ করার যন্ত্র আছে।
—————————

তফাৎ


মেয়ে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা বাবা, মা আর বউয়ের মধ্যে তফাৎ কী?
বাবা বলল, খুব বেশি তফাৎ নেই। মা কথা বলতে শেখায় আর বউ চুপ থাকতে।
—————————

সার্কাসে কাজ করতে?


মেয়ে বলল, মা, তুমি কি আগে সার্কাসে কাজ করতে?
মা বলল, কই? না তো! কেন?
মেয়ে বলল, কাল রঞ্জনার মা বলছিল… তুমি নাকি বাবাকে আঙুলে করে নাচাও।
—————————

গরমে


— অতিরিক্ত প্রেম আর অতিরিক্ত গরম একই ব্যাপার…
— হ্যাঁ, গায়ে জামা রাখতে দেয় না।
—————————

প্রথমবার


বউয়ের সঙ্গে দেখা হতেই সদ্য বিয়ে হওয়া বর বলল, আজ আমাদের ফুলশয্যা!
বউ বলল, আমার খুব লজ্জা করছে।
বর বলল, প্রথমবার তো…
বউ বলল, না না, প্রথমবার না। রাতে প্রথমবার।


সিদ্ধার্থ সিংহ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত


সংবাদটি শেয়ার করুন