শূন্যতল ||| পুলক বড়ুয়া
তুমি যখন লাইক দাও, লাভ দাও না, তখন মনে হয়, জ্বলন্ত চুল্লিতে চেলি কাঠ নাকি চুল্লী কাঠ ঠেলে দাও । তখন নিভন্ত চুল্লীর মতোন নিজেকে নিঃসঙ্গ লাগে । মাঝে মাঝে মনে হয়, ভীষণ অসভ্য তুমি । মনে হয়, আমার ইচ্ছের সমান-সমান্তরাল—পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছো তুমি । হেঁটে আসছো একটি গন্তব্যের দিকে ।
আমি মানে জনৈকা লাইকে সোয়ারি নির্জন আমি । তুমি মানে মন্তব্যের মহাশূন্যঘরে অপূরণীয় মস্তশূন্য তুমি । আমি সেই শূন্যতল । শূন্য-শতদল : একটি পুকুর অথবা দীঘির পূর্ণ-অসম্পূর্ণ নীরে চিত্তপটের মতোন কোমল মঙ্গলঘটে । একেই কী বলে, তবে, ‘ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ’? মানে, ইশারা? ‘ মৌনতাই সম্মতির প্রতীক ? তুমি রাজি ? আমার কথায় রাজি ? তাল গাছের মতোন এক পায়ে খাড়া? হা, ঈশ্বর কী যে বোকা আমি! এতকাল বুঝিয়াছি ভুল ! শুধু ভুল। একলা নারীর মন একাকীনী শুধু কাঁদে, হাজার নারীর ভিড়ে! দূরে-কাছে মিড়ে । ফিরে ফিরে নীড়ে। শুধু একটি নারীর মন বুঝতে পারিনি । এমন বেভুল আমি ? নির্ভুল কেবল সে-ই? কেবল তুমিই ? আজ বুঝলাম, অপদার্থ কাকে বলে। তবে আরও আগেই আমার বোঝা উচিত ছিল। যা তুমি বহু আগে ঢের টের পেয়ে গিয়েছিলে। যেমন, সেদিন তোমার লাইক বুঝিনি। তথাপি, বোকার মতোন তাকে আমি পছন্দ করে ফেলেছিলাম । আজও করি, পুলকিত হই : তোমার একক নিঃসঙ্গ-পছন্দ দেখে, তোমার নিভৃত-ভালোবাসা থেকে।
তুমি একটি নদীর মতো ঢেউ তুলে বয়ে গেছ এঁকে বেঁকে।
পাঁচলাইশ-চট্টগ্রাম : রমনা-টিএসসি-ধানমন্ডি-ঢাকা : কোটবাড়ি-কুমিল্লা
১-২-৩-২০২২