একটি আনন্দ সন্ধ্যার জন্ম হলো যেভাবে ঃ জসিম মল্লিক
বাংলা একাডেমি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ২০২২ পুরস্কার প্রাপ্তিতে টরন্টোবাসী যে আনন্দ সন্ধ্যাটির আয়োজন করেছেন তা ছিল পুরস্কার প্রাপ্তির মতোই একটি পরম পাওয়া আমার জন্য। এতো স্বল্প সময়ে, অনেকটা আকস্মিক এবং আমার জন্য সারপ্রাইজ এই মনোরম সন্ধ্যাটির মূল রূপকার খ্যাতিমান ছড়া লেখক লুৎফর রহমান রিটন। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে অনুষ্ঠানটির কারিগরি এবং অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে সফল বাস্তবায়ন করেছেন খ্যাতিমান মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, বাংলা মেইলের সম্পাদক ও এনআরভি টিভির প্রধান নির্বাহী শহিদুল ইসলাম মিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত করেছেন বাংলা সাহিত্যের দুই উজ্জল নক্ষত্র শ্রদ্ধেয় কবি আসাদ চৌধুরী ও লুৎফর রহমান রিটন।
অনুষ্ঠানে শুভকামনা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক ও খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী সৈয়দ ইকবাল, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, গবেষক ড. মোজাম্মেল খান, লেখক হাসান মাহমুদ, টরন্টো বইমেলার আহবায়ক সাদি আহমেদ, প্রবাসী কন্ঠের সম্পাদক খুরশীদ আলম, টরন্টো ফিল্ম ফোরামের কর্ণধার, চলচ্চিত্র নির্মাতা এনায়েত করিম, সাংবাদিক রেজাউল হাসান, সাংবাদিক সুব্রত নন্দী, লেখক তাসরিনা শিখা, কবি মোয়াজ্জেম খান মনসুর, সংগঠক সেলিনা সিদ্দিকী শিশু, লেখক জালাল কবির, প্রকৌশলী শামস উল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্য যেসব বন্ধু ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা হলেন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও নতুন দেশের সম্পাদক সওগত আলী সাগর, লেখক সুব্রত নন্দী, জনপ্রিয় শিল্পী ফারহানা শান্তা, সংগঠক মুনির বাবু, সঙ্গীত শিল্পী ও আবৃত্তিকার মৈত্রিয়ী দেবী, আবৃত্তিকার আসমা হক, লেখক ঋতু মীর, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নওশের আলী ও কৃষিবিদ ফয়জুল করিম। যারা অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি কিন্তু শুভকামনা জানিয়েছেন, ফুল পাঠিয়েছেন তাদের প্রতি শুভাশিস রইল। আমার কন্যা অরিত্রি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখায় আমি যারপরনাই আনন্দিত। অন্যান্য শুভকাঙ্খি ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব যারা উপিস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে প্রানবন্ত করেছেন তাদের জন্য প্রাণঢালা ভালবাসা।
ফারহানা শান্তা তার সঙ্গীত পরিবেশনা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি অসাধারণ উপস্থাপনার মাধ্যমে যিনি প্রাণময় করে তুলেছেন তিনি হচ্ছেন সওগত আলী সাগর। সভাপতি হিসাবে মঞ্চ আলোকিত করেছেন শহিদুল ইসলাম মিন্টু।
আলোচনা, স্মৃতিকথা ও আড্ডার মধ্য দিয়ে সফল আনন্দ সন্ধ্যাটি সত্যিকার আনন্দের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে।